Manipur Landslide: ৪ মাসে আগেই বদলি, মণিপুরে ধসে শহিদ বাংলার জওয়ান, নিখোঁজ আরও এক
অগাস্টে অসুস্থ বাবার অস্ত্রোপচারের জন্য বাড়ি ফেরার কথা ছিল শংকরের। কিন্তু সে ফেরা আর হল না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : প্রবল বৃষ্টিতে মণিপুরে ভয়াবহ ধসে (Manipur Landslide) ৭ সেনা সহ মৃত্যু ১৪ জনের। শহিদ সেনাদের মধ্যে রয়েছেন একজন বাংলার জওয়ানও (Bengal Jawan)। পাশাপাশি বাংলার আরও এক জওয়ান নিখোঁজ। মণিপুরের নোনে জেলায় ধস নামে। ধসের জেরে রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে প্রায় ৫০-এর বেশি মানুষ আটকে পড়েন। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ২৩ জনকে বের করে আনা হয়। তার মধ্যে ১৪ জন-ই মৃত। আটকে পড়া নিখোঁজদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
মণিপুরে ধসে শহিদ হয়েছেন মালবাজারের নাগরাকাটার জওয়ান শংকর ছেত্রী। ৩০ বছরের তরতাজা যুবকের শহিদ হওয়ার খবর নাগরাকাটার খাসবস্তিতে শংকরের বাড়িতে পৌঁছতেই এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শংকর মণিপুরের নোনে জেলায় রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে অন্যান্যদের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আচমকা পাহাড় থেকে বিশাল ধস আছড়ে পড়ে তাঁদের উপর। ধসের তলায় চাপা পড়ে যান তিনি। মারাত্মক জখম হন। পরে প্রাণ হারান।
শহিদ শংকরের স্ত্রী ও পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। শংকররা তিন ভাই। সে-ই ছোট। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, সেনায় যোগ দিয়ে দেশ সেবা করার। আগামী অগাস্টে অসুস্থ বাবার অস্ত্রোপচারের জন্য বাড়ি ফেরার কথা ছিল শংকরের। কিন্তু সে ফেরা আর হল না। কথা বলতে গিয়ে বার বারই গলা ধরে আসছিল শংকরের স্ত্রী পুনমের। পুনম জানান, মাত্র মাস চারেক আগেই বদলি হয়ে মণিপুরের ডিউটিতে গিয়েছিলেন। ফোনে বার বার বলতেন দুঃশ্চিন্তা না করার জন্য। ঘটনার পর থেকেই শংকরের সাথে আর বাড়ির কেউ আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি। তারপরই আসে মৃত্যুসংবাদ।
অন্যদিকে ধসের পর থেকেই নিখোঁজ বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামের জওয়ান মহিউদ্দিন আহমেদ। ৩২ বছরের মহিউদ্দিন মণিপুর টুপুলে ১০৭ ইউনিট গোর্খা রাইফেলে কর্তব্যরত ছিল। ১১ মাস আগে ডিউটিতে যোগ দেয়। ধস নামার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ আর যোগাযোগ করতে পারেননি। বার বারই ফোন সুইচ অফ বলে। নিখোঁজ মহিউদ্দিনকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের। ঘরের ছেলের খবর পাওয়ার অপেক্ষায় উৎকণ্ঠার মধ্যে প্রতিটা ঘণ্টা কাটছে তাঁদের।
Chhatradhar Mahato: ছেলের বিয়ে-বউভাত, কার্ড-প্রমাণে প্যারোল চাইছেন ছত্রধর