নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট মিটতেই ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্ন উঠছে উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন, এবার দুশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সেই প্রচার জোর ধাক্কা খেয়েছে। মাত্র ৭৭ আসনেই আটকে গিয়েছে বিজেপি। এবার ভোটের ফলাফল নিয়ে এক অনলাইন আলোচনা চক্রের ডাক দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। বিষয়বস্তু, বিজেপির এই হার কেন। এনিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।


আরও পড়ুন-যতটা মনে হচ্ছিল ২০২০-র কোভিডে ততটাও নিরাপদ ছিল না তরুণ প্রজন্ম


ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি নোটিফিকেশন জারি করেছে বিশ্বভারতী(Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১৮ তারিখ এই বিকেল ৪টেয় জুম অ্যাপের মাধ্যমে এই আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে ৷ আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন প্রফেসর সঞ্জয় কুমার।  


এই আলোচনা চক্রকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে, এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে কি রাজনৈতিক দলের হার নিয়ে আলোচনা করা যায়? অনেকেই দাবি করছেন, উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী আগেও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন ৷  তিনি বিজেপির লোক বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই জায়গা থেকে এবার প্রকাশ্যে এমন রাজনৈতিক আলোচনাচক্র বিদুৎ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক চরিত্রই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।


এনিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কে কী প্রশ্ন তুলেছেন তা জানার প্রয়োজন নেই। উপাচার্যকে চ্যালেঞ্জ করার ধৃষ্টটাও আমার নেই। কোনও নির্বাচন সমাজের বাইরে নয়। নির্বাচন, নির্বাচনে কোনও দলের হার, মানুষের প্রতিনিধিত্ব এসব রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিষয়। স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি আলোচনা চাইতেই পারেন। পৃথিবীর বহু দেশে এসব হয়। এতে তো অন্যায়ের কিছু নেই।


আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ২০০০ জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


বিশ্বভারতীয় আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর এরকম বিতর্কে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর অন্দরে পৌঁছে যাচ্ছে রাজনীতি। উপাচার্য এর আগেও অনেক রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছেন।


তৃণমূল সংসদ সৌগত রায়(Saugata Roy) এনিয়ে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যাঁরা অধ্যাপক তাঁরা এর আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন বা মতামত দিয়েছেন। উনি যদি অ্যাকাডেমিক দিক থেকে এই আলোচনার আয়োজন করে থাকেন তবে আমার কিছু বলার নেই। তবে উনি এর আগে একাধিক বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। অনেকেই মনে করেন উনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ। উনি এই বিতর্কে না গেলেও পারতেন। তবে অ্যাকাডেমিক দিক থেকে আমি ওঁর সামালোচনা করছি না। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপকদের এটা খুঁজে দেখাই কাজ।