Panchayat Election 2023: প্রার্থীপদ নিয়ে টানাটানি, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে এক আসনে তৃণমূলের ২ প্রার্থী
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি দল যাকে ঠিক করবে, তিনি-ই একমাত্র প্রার্থী হবেন।
সোমা মাইতি: দল এক, আসন এক, কিন্তু প্রার্থী দুই। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৬২ নম্বর আসন নিয়ে টানাপড়েন শাসকদলের মধ্যে। ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজারের মধ্যে এই টানাপড়েন। দুজনই নিজেকে দলের প্রতীকে জেলা পরিষদ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কান্দি মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান । তাঁর দাবি, দল তাঁকে ৬২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে টিকিট দিয়েছে। এদিন তাঁর পাশাপাশি একই আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার। তিনিও দাবি করেন দলের প্রার্থী তিনিও। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি দল যাকে ঠিক করবে, তিনি-ই একমাত্র প্রার্থী হবেন।
শুধু মুর্শিদাবাদেই নয়। এদিন মালদায় একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। দুজনেই আবার নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবেও দাবি করেছেন। মালদার কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৩ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেন ওই দম্পতি। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয়ভাবে মালদার জেলা পরিষদের ৪৩ নম্বর আসনটির প্রার্থী হিসেবে বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করা হয়েছে। এখন চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়কের পাশাপাশি মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রয়েছেন। তাই কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ৪৩ নম্বর আসনটি বিধায়কের স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করা হয়।
এরপরই দম্পতির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ৪৩ নম্বর আসনটিতে প্রার্থী হওয়ার দাবী জানাতে থাকেণ বিধায়ক চন্দনা সরকারও। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানান। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব চন্দনা সরকারের দাবি নাকচ করে দেন। শুধু তাই নয় চন্দনা সরকারের স্বামী গৃহযুদ্ধ রুখতে প্রার্থী পদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদনও করেন রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্বকে। কিন্তু দলীয়ভাবে সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পরিতোষ সরকারকে। এরপরই এই দম্পতি একসঙ্গে জেলার রিটারিং দফতরে এসে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওদিকে কুমারগঞ্জ, হিলিতেও একই আসনে একাধিক মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন, আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: পুলিসকে লক্ষ করে ইট বৃষ্টি, মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত বীরভূমের আমোদপুর