Abhishek On Anubrata: দলকে সামনে রেখে অন্যায় করলে তার দায় নেব না, পার্থ-কেষ্টর দিকেই ইঙ্গিত অভিষেকের!
চা শ্রমিকদের পিএফ, গ্রাচুইটি নিয়েও এদিন সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এও বলেন, শ্রমিকদের ওই পাওনা আদায় না হলে জানুয়ারি মাস থেকে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নতুন তৃণমূলের কথা বলে জোর রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মালবাজারের সভা থেকে সেই নতুন তৃণমূলের ব্যাখ্যা দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। পাশাপাশি মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও। এদিন চা শ্রমিকদের ওই সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, গত ১২ জুলাই নতুন তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। সে নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। অনেকে অনেককিছু লিখছে, বলছে দেখাচ্ছে। নতুন তৃণমূল আবাক কী? তার মানে কি পুরনো তৃণমূল বাদ? নতুন তৃণমূল মানে মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চাইছে সেই তৃণমূল গড়ে তুলে চাইছি আমরা। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এই যে ব্লক কমিটি, টাউন কমিটি তৈরি হয়েছে আপনারা দেখেছেন সেখানে কাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামিদিনে পঞ্চায়েতেও দেখবেন। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের কথা কথা বলব, বিরোধীরা তাদের কথা নিয়ে যাবে। মানুষ একপক্ষকে নেবে, অন্যপক্ষকে বাদ দেবে। কিন্তু সারা বছর যারা মানুষের পাশে থাকে তাদের সঙ্গে মানুষ বেইমানি করে না। বামফ্রন্টের মতো একটা ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির মতো শক্তিকে উত্ৎখাত করতে যে তৃণমূল লড়াই করেছিল আমি সেই তৃণমূলের কথা বলেছি। শ্রমিক, কৃষকের দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে যারা লড়াই করে তাদের অধিকার আদায় করে দেয় আমি সেই তৃণমূলের কথা বলেছি।
আরও পড়ুন- রেলের কুলি হলেন আইএএস অফিসার, শ্রীনাথের জীবন যেন রূপকথা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, তৃণমূলের মতো এতবড় একটা দল। চলার পথে নিশ্চয় কিছু ভুল থাকবে। কিন্তু ভুলের সংশোধন দল করছে কিনা তা দেখার দরকার। গত ১২ জুলাই যখন এসেছিলাম তখন কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি-সিবিআই ধরেনি। তাও আমি নতুন তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। তখন এসব ঘটেনি। যদি কেউ ভুল করে, ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করে তাহলে দল তার পাশে দাঁড়াবে না। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলে যাচ্ছি। রাজ্যে নেতা থেকে বুথ নেতা, সবার জন্যই এটা সত্যি। যদি কেউ কোনওভাবে দলকে ভাঙিয়ে, মানুষকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজননীতি করে তাহলে দল তার পাশে দাঁড়াবে না। কিন্তু আপনারা বলুন, যেসব দু'নম্বরিগুলো ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি কী ব্যবস্থা নিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস তো কিছু করেছে। এই তো মলয় ঘটক বসে রয়েছে। সিবিআইয়ের রেড হয়েছিল। কী পেয়েছে? মাত্র ১৪ হাজার টাকা। আর যাদেরকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাদের কিছু হচ্ছে না। তাই আমাদের এমনভাবে তৈরি হতে হবে যাতে আমাদের উপরে কোনও আঁচ না আসে। এটাই হল নতুন তৃণমূল।
চা শ্রমিকদের পিএফ, গ্রাচুইটি নিয়েও এদিন সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এও বলেন, শ্রমিকদের ওই পাওনা আদায় না হলে জানুয়ারি মাস থেকে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। অভিষেক বলেন, পিএফ ও গ্রাচুইটি কেন্দ্রের বিষয়। আমাদের দাবি, পিএফ ও গ্রাচুইটি পে স্লিপ অনুযায়ী হতে হবে আগামী ৩ মাসের মধ্য়ে। এটা আপনাদের হকের পয়সা। যে চা বাগানের মালিক পিএফ, গ্রাচুইটি দেবে না সেইসব বাগানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে পুলিসে এফআইআর করুন। কোনও চা বাগানকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি। নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুমাস সময় দিচ্ছি। পিএফ, গ্রাচুইটি সম্পর্কিত যেসব সমস্যা আছে তা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। তাতেও যদি না হয় তাহলে ১ জানুয়ারি থেকে বিজেপির যে ৯ বিধায়ক রয়েছেন ও ৩ সাংসদ রয়েছেন তাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। কলকাতা থেকে আমি আসব। দরকার হলে দিল্লি পর্যন্ত আমরা যাব। বিজেপি বলেছে নবান্ন চলো। আমরা বলছি দিল্লি চলো।