নিজস্ব প্রতিবেদন: শংকরপুর থেকে তাজপুর যাওয়ার পথে পূর্ব জলধা গ্রাম। আয়লা থেকে বুলবুল। যে কোনো সাইক্লোনে বারবার তছনছ হয়ে যাওয়ার তিক্ত ইতিহাস বহন করে এই ছোট্ট জনপদ। গ্রামে প্রায় ২০০টি বাড়ি। বেশিরভাগই খড়ের চালের মাটির বাড়ি। অবস্থাপন্ন দু এক জনের মাথার ওপর টিনের ছাদ আছে। এরা প্রায় সবাই মত্স্যজীবী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্কর পুরে সমস্ত হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ। তাই হাতে কাজ নেই, পেটে খাবার নেই। তারপর ধেয়ে আসছে আমফান। নিচু এলাকায় হু হু করে জল ঢুকলে সব শেষ। আবার প্রবল ঝোড়ো হওয়ায় কাঁচা বাড়ি মিশে যাবে মাটিতে। তাই পূর্ত ও সেচ দফতরের পাশাপাশি সমুদ্র বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন গ্রামের জোয়ান বৃদ্ধ।



উপকূল বরাবর কাঠের শাল বল্গা। তারপর বোল্ডারের প্রাচীর। কিছুটা দূরে ফের বাঁশের দেওয়াল। তার পিছনে সারসার বালির বস্তা। এটুকুই পাওয়া গেছে প্রশাসনের কাছ থেকে। তাই সম্বল। এই দিয়েই নিজেদের গ্রাম ও জীবন বাঁচানোর মরিয়া লড়াই। পাশেই রেসকিউ সেন্টার। পোশাকি নাম আয়লা আশ্রয় ভবন। সেখানে শিশুদের নিয়ে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা। সঙ্গী বলতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দিয়ে যাওয়া পানীয় জলের কিছু পাউচ। আর যদি সন্ধের পর শুকনো মুড়ি চিঁড়ে কিছু আসে, তার অন্তহীন অপেক্ষা।


********************************************************


আমফান নিয়ে এই স্টোরিগুলো অবশ্যই পড়ুন- 


** ভয়ঙ্কর গতিতে বাংলার দিকে এগোচ্ছে সুপার সাইক্লোন আমফান! কী করবেন, কী করবেন না জানুন


** কোন কোন জেলার ওপর দিয়ে কত কিমি বেগে বইবে আমফান, জেনে নিন


** আমফানের আস্ফালনে ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, সুনসান সৈকত, দেখুন ছবি


** আমফান মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন, কন্ট্রোলরুম চালু করল হাওড়া পুরনিগম