Malbazar: তিস্তাগর্ভে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি...সব! আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম, করে সুরাহা?

Malbazar Flood: তিস্তাগর্ভে চলে গিয়েছে ঘরবাড়ি-কৃষিজমি। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। দাবি, বহুবার প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। গ্রাম বাঁচাতে গ্রামবাসীরাই বাঁধ তৈরি করছেন।

সৌমিত্র সেন | Updated By: Aug 11, 2024, 04:03 PM IST
Malbazar: তিস্তাগর্ভে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি...সব! আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম, করে সুরাহা?

অরূপ বসাক:  বৃষ্টি হলেই মাথায় হাত গ্রামের মানুষের। এই বুঝি তাঁদের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তিস্তা নদী। এই ভাবেই জীবন সংগ্রাম করে চলেছেন মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তা পাড়ের টোটগাঁওয়ের বাসিন্দারা। জমিজমা প্রতিনিয়ত তিস্তা গ্রাস করছে।  ইদানীং ঘরবাড়িও চলে গিয়েছে তিস্তা নদীতে। এ বছরে ভারী বর্ষায় তিস্তা গিলে খেয়েছে ৭০টির মতো বাড়ি। কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে!

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন: R G Kar Incident: সরিয়ে দেওয়া হল পূর্বতনকে, আরজি করের নতুন সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায়...

স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা বাঁধের দাবি করে আসছেন। কিন্তু শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনও কাজই হয়নি। বাঁধ না হলে এক সময় পুরো গ্রামই শেষ হয়ে যাবে। সরকারি ভাবে কোনও সাহায্য না পেয়ে গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই চাঁদা তুলে বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করছেন।

গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, যা যাবার চলে গিয়েছে। এখন যতটুকু অবশিষ্ট আছে, সেটাকে বাঁচাতে হবে। তাই গ্রামের মানুষজন চাঁদা তুলে বালির বস্তা দিয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে বাধ দিচ্ছেন। কোনও রকম সরকারি সহযোগিতা না পেলেও, তাঁরা হার মানবেন না-- এমনই মত তাঁদের। নিজেরাই এখন বাঁধ তৈরি করে নিজেদের ঘরবাড়ি কৃষিজমি রক্ষা করছেন তাঁরা। এদিন দেখা গেল, গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই বাঁধ বাঁধছেন। 

প্রতিদিন তিস্তা নদী যে ভাবে গ্রামের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছে, তাতে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে গত ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই টোটগাঁওয়ে। বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটিও তিস্তা নদী ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: R G Kar Incident: সেমিনার হল থেকে ফিরে রাতে ঘুমোয়, সকালে জামা-কাপড় ধোয় নির্বিকার সঞ্জয়! তারপর আর এক দফা...

গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক দিকে নদীর ভাঙন, অন্য দিকে ১০ দিন যাবত গ্রাম অন্ধকার! সব মিলিয়ে সমস্যা বেড়েছে বহু গুণ। মোবাইল চার্জ করা যাচ্ছে না। অন্য গ্রামে গিয়ে মোবাইল চার্জ করাতে হচ্ছে।  ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সমস্যা। রাতের অন্ধকারে হাতির ভয়। কবে তাঁরা একটু নিশ্চিন্তে দুচোখের পাতা এক করতে পারবেন?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

About the Author

Soumitra Sen

পেশায় দীর্ঘদিন। প্রিন্ট মিডিয়ায় শুরু। ওপিনিয়ন পেজ এবং ফিচারই সবচেয়ে পছন্দের। পাশাপাশি ভ্রমণসাহিত্য, সংগীত ও ছবির মতো চারুকলার জগৎও। অধুনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অ্যাস্ট্রো, লাইফস্টাইল, পপুলার সায়েন্স ও ইতিহাস-অ্যানথ্রোপলজিক্যাল বিষয়পত্তরও। আদ্যন্ত কবিতামুগ্ধ. তবু বিভিন্ন ও বিচিত্র বিষয়ের লেখালেখিতে আগ্রহী। সংবাদের অসীম দুনিয়ায় উঁকি দিতে-দিতে যিনি তাই কখনও-সখনও বিশ্বাস করে ফেলেন-- 'সংবাদ মূলত কাব্য'!

...Read More

.