বাম বাড়লে কমবে রাম? অঙ্ক বুঝে 'ম্যাচ ফিক্সিং' তত্ত্ব Modi-র; প্রমাণ করুন: Sujan
জোট বাঁধছে বাম-কংগ্রেস। আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গেও বোঝাপড়া চাইছেন বাম নেতারা। ফলে, তারাও বিকল্প হতে চলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি বনাম তামাম বিরোধী। হলদিয়ার সভামঞ্চে নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। বললেন,' আড়ালে ম্যাচ ফিক্সিং করছে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল। ভাষণের একেবারে শেষবেলায় বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলকে একাসনে বসিয়ে মোদী (Narendra Modi) বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যে তৃণমূলকে সরাতে একমাত্র বিকল্প বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,'চ্যালেঞ্জ করছি প্রমাণ করুন।'
গত লোকসভা ভোটে ভেস্তে গিয়েছিল বাম-কংগ্রেস সমঝোতা। কংগ্রেস (Congress) পেয়েছিল ৫.৬৭% ভোট। ৭ শতাংশ ভোট গিয়েছিল বামেদের ইভিএমে। সেই হিসেবে এখনও ১৩ শতাংশের কাছাকাছি ভোট রয়েছে দুই শিবিরের। এর সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির দল যোগ দিলে তা নিঃসন্দেহে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। আসন কমলেও গত লোকসভায় ভোটের হার (৪৩.৬৯%) বাড়িয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। আর বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট। সহজ পাটিগণিত বলছে, বাম ভোট গিয়েছে রামে। ফলে, একুশের ভোটে বিরোধী ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট থাবা বসালে লোকসান হবে বিজেপিরই। তা অনুধাবন করেই হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সাবধানবাণী,'আমি আরও একটা কথা বলতে চাই, আমাদের লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে। এদের গোপন বন্ধুদের থেকেও সাবধান থাকা দরকার। আপনারা অনেকবার শুনেছেন খেলার মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিং। বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল মিলে পর্দার পিছনে ম্যাচ ফিক্সিং করছে। দিল্লিতে বন্ধ ঘরে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল একসঙ্গে রণনীতি সাজায়। কেরলে কংগ্রেস ও বাম চুক্তি করেছে- ৫ বছর তুমি, ৫ বছর আমি লুঠব। এখানে বাম-কংগ্রেস লোকদেখানো লড়াই করছে। এই বিশ্বাসঘাতক রাজনীতির শিকার হবেন না। সজাগ থাকতে হবে।'
আরও পড়ুন- কেন্দ্রভিত্তিক আসন রফা নিয়ে প্রথম বাম-কংগ্রেস বৈঠক, আব্বাসের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার বিমানের
মোদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakrobarty)। তাঁর কথায়,'করুণা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এত ভুল ও অসত্য কথা বলেন কীভাবে? ধরা পড়ে গেলেন তো! তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা ভয় পাচ্ছেন। বামশক্তি যেভাবে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে তাতে প্রধানমন্ত্রী কেঁপে গিয়েছেন। খুব দুর্ভাগ্য হেরে যাওয়ার ভয়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। ম্যাচ ফিক্সিং তো তৃণমূল-বিজেপির। তৃণমূল সাংসদই তো বলেছিলেন, চিটফান্ড-কাণ্ডে সর্বাধিক লাভবান হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত না করে জিয়নকাঠি দিয়ে তৃণমূলকে টিকিয়ে রাখল? দুই শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হিম্মত আছে বাংলার মানুষের। সামনে আছে বামপন্থীরা। মিথ্যা প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, দিল্লিতে বৈঠক হয়েছিল, এটা প্রমাণ করুন।'
আরও পড়ুন- BJP ক্ষমতায় এলে বকেয়া সহ কৃষকদের PM-Kisan-এর টাকা দিয়ে দেবে সরকার: Modi
একুশের ভোটে বাম-কংগ্রেস কার্যত পাকা। আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গেও বোঝাপড়া সেরে ফেলতে চাইছে আলিমুদ্দিন। স্বাভাবিকভাবে তৃতীয় বিকল্প হতে চলেছে জোট। আর এটাও ঠিক, ২০১৯ সালে ছিল লোকসভা ভোট। প্রধানমন্ত্রী বাছার নির্বাচন। আর এটা বিধানসভা ভোট। এই ফারাকটা বোঝেন মোদী (Narendra Modi)। সে কারণেই তাঁকে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলকে এক পংক্তিতে ফেলতে হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- মমতার অপেক্ষায় ১০ বছরে নির্মমতার শিকার বাংলা, আসল পরিবর্তন এবার হবে: Modi