নিহত কর্মীদের দেহ কলকাতায় সত্কারে বাধা, বিজেপি-পুলিস ধস্তাধস্তি
বসিরহাট হাসপাতালে ন্যাজাটে সংঘর্ষে হত দুই কর্মীর দেহ নিয়ে রীতিমতো লুকোচুরি খেলল বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ন্যাজাটে বিজেপির দুই কর্মীর দেহ নিয়ে রীতিমতো রণক্ষেত্র মালঞ্চ মোড়। বসিরহাট হাসপাতাল থেকে দেহ কলকাতার শ্মশানে দাহ করতে চেয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু বাধা দেয় পুলিস। মালঞ্চ মোড়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের উপরে লাঠিচার্জ করে পুলিস।
বসিরহাট হাসপাতালে ন্যাজাটে সংঘর্ষে হত দুই কর্মীর দেহ নিয়ে রীতিমতো লুকোচুরি খেলল বিজেপি। দলীয় কর্মীদের দেহ কলকাতায় সত্কার চাইছে বিজেপি। কিন্তু দেহ কলকাতায় নিয়ে যেতে বাধা দেয় পুলিস বাহিনী। কিন্তু কীভাবে দেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা ঘুণাক্ষরে বুঝতে দেয়নি বিজেপি। দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নেতৃত্বে কনভয় পৌঁছয় মালঞ্চ মোড়ে। সেই কনভয়ে যোগ দেয় শববাহী গাড়িটি। বিজেপিকে আটকে দেয় পুলিস। গাড়ি থেকে দলবল নিয়ে নেমে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
লকেটের দলবলের সঙ্গে একদিকে চলছে পুলিসের বচসা, অন্যদিকে শববাহী গাড়ি নিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দেন দিলীপবাবুরা। একেবারে ফিল্মি কায়দায় পরিকল্পনামাফিক পুলিসকে ধোঁকা দেয় বিজেপি। এরপরই বিজেপি কর্মীদের উপরে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিস। মিনাখায় বাসন্তী হাইওয়েতে ফের বিজেপিকে আটকে দেওয়া হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা কোন পুলিস! দরকার হলে এখানেই দাহ করা হবে। পরিবারের লোকই কলকাতায় দাহ করতে চাইছেন।
বিজেপির দাবি, পুলিসের আচরণ অগণতান্ত্রিক। দলের কর্মীদের দেহ নিমতলা শ্মশানে দাহ করলে অসুবিধা কোথায়? বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন,''বাড়ির লোক বলছেন কলকাতায় সত্কার করবেন। পুলিস ঠিক করে দেবে, কোথায় সত্কার করা হবে''। রাহুল সিনহার কথায়, ''দেহ নিয়ে মিছিল হবে না, আমি কথা দিচ্ছি। পার্টি অফিসে মাল্যদান করা হবে। কলকাতায় আমরা নিয়ে যাবই''।
আরও পড়ুন- আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে লালবাজার অভিযানের ডাক বিজেপির