Elephant Death: পিঠে জ্বলন্ত রড, হাতির মৃত্যু ঘিরে উত্তাল ঝাড়গ্রাম, বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ...

Jhargram Elephant Death: ১৫ অগাস্ট হাতির পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দিয়ে গুরতর আহত করে হুলা সদস্যরা। পরেরদিন সন্ধ্যের পর হাতিটির চিকিৎসা শুরু হয়। হাতি মৃত্যুর পর বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় গ্রামবাসী। হাতি মৃত্যু ঘিরে মিছিলে নামে গ্রামবাসীরা। 

Updated By: Aug 20, 2024, 02:22 PM IST
Elephant Death: পিঠে জ্বলন্ত রড, হাতির মৃত্যু ঘিরে উত্তাল ঝাড়গ্রাম, বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ...

সৌরভ চৌধুরী: হাতি মৃত্যুর প্রতিবাদে বনপতিমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রবিবার মিছিলে নামে গ্রামবাসীরা। গত ১৫ তারিখ হুলাপার্টির হামলায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঝাড়গ্রামের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে হাতি মৃত্যুর প্রতিবাদ জানানো হয়। 

আরও পড়ুন- Anindya Chatterjee Divorce: খেলা ভাঙার খেলা! 'চন্দ্রবিন্দু'র অনিন্দ্যর সঙ্গে বিচ্ছেদ স্ত্রী মধুজার, জেগে থাকল 'বন্ধুতা'...

গ্রামবাসীদের বক্তব্য হাতি তাড়ানোর জন্য সরকার থেকে বনসহায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ অভিজ্ঞ এলাকার লোকের বদলে বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ করে বনপ্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ফলে সম্প্রতি হাতি শহরে ঢুকলে অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। সেই সময় এক হুলপার্টির সদস্য হাতির পিঠে জ্বলন্ত সলাকা ঢুকিয়ে দিলে আহত হাতিটির পরের দিন মৃত্যু হয়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষ।

১৫ অগাস্ট হাতির পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দিয়ে গুরতর আহত করে হুলা সদস্যরা। পরেরদিন সন্ধ্যের পর হাতিটির চিকিৎসা শুরু হয়। গোপন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিটিকে। হাতি মৃত্যুর পর বীরবাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় গ্রামবাসী। হাতি মৃত্যু ও মানুষের মৃত্যুর জন্য বীরবাহাকে দায়ী করছেন গ্রামবাসীরা। দোষী ব্যাক্তির শাস্তি দাবি করছেন তারা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পাঁচটি হাতি ঢুকে যায় শহরে। হামলায় মারা যান এক ব্যক্তি। এর পরেই ডাক পড়ে হুলা পার্টির। অগোছালো কাজের ফলে হাতিকে শহর থেকে বার করা সম্ভব হয়নি। 

একটি হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে অন্যত্র সরানো হয়। এরই মধ্যে বিকেলে হুলা দলের এক সদস্য হাতির পিঠে রড ঢুকিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। অনভিজ্ঞ হুলাদের সেখান থেকে বার করে দেওয়ার দাবি ওঠে। ঘেরাও করা হয় বনদফতরের কর্মী দের। পুলিশের হস্তক্ষেপে এবং আহত হাতির চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীরা চুপ করে যায়। শুরু হয় চিকিৎসা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোটা ঘটনা বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়ির সামনে হলেও তিনি একবারের জন্য কোনো খোঁজ খবর নেননি বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন- Potato Crisis: হু হু করে বাড়তে পারে আলুর দাম! এবার রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতিতে আলু ব্যবসায়ীরা...

গ্রামবাসীদের অভিযোগ হাতি সমস্যা বাড়ায় সরকার গ্রামের যারা হাতি তাড়ানোর কাজ করেন তদের থেকে লোক বাছাই করে লোক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বন পতি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এলাকার অভিজ্ঞ লোকেদের না নিয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে। ফলে হাতি তাড়ানোর কাজে সমস্যা তৈরী হয়। মানুষের মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকে। ক্ষুব্ধ অভিজ্ঞ হুলা পার্টির লোকেরা হাতি তাড়ানোর কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। যার ফল হাতি হামলায় এত মানুষের মৃত্যু ও ক্ষয় ক্ষতি। সর্বোপরি সম্প্রতি এই নৃশংস হাতির উপর হামলা ও মৃত্যু। হাতি মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ঝাড়গ্রামের ডিএফও জানান অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে আছে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.