করোনা আতঙ্কে মুখ ফেরালেন আত্মীয়রাও! বালুরঘাটে ১২ ঘণ্টা বাড়িতে শিক্ষিকার দেহ
দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে বিপন্ন মানবিকতা। পাড়া-প্রতিবেশীরাই শুধু নন, মৃত্যুর পর মুখ ফেরালেন আত্মীয় পরিজনরাও! ১২ ঘণ্টার বাড়িতেই পড়ে রইল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার দেহ। ঘটনাস্থল, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট।
স্বামী প্রয়াত, একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। বছর ছয়েক আগে চাকরি থেকে অবসর নেন বালুরঘাটের খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা সংযুক্তা বসু। শহরের দীপালী নগর এলাকা ছেলের নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে, শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন না একেবারেই। শরীরের বাসা বেঁধেছিল নানাধরণের অসুখ। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: Covid রোগীর বাড়ি স্যানিটাইজ করা কিংবা Oxygen দেওয়া, ছেলেকে নিয়ে হাজির পদ্মশ্রী করিমুল
তারপর? বৃহস্পতিবার বাড়িতেই মারা যান সংযুক্তা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আতঙ্ক এতটাই যে, পাড়া-প্রতিবেশীরা, এমনকী মৃতের আত্মীয় পরিজনেরাও মুখ ফিরিয়ে নেন বলে অভিযোগ। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়। সত্কার তো দূর অস্ত, মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে ছিল দেহ। এদিন সকালে বাড়ি থেকে সংযুক্তা বসুর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। কীভাবে মৃত্যু? দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: স্বামী ও বোনের মৃতদেহ আগলে মহিলা, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া হাওড়ায়
করোনা আতঙ্কের গ্রাসে বাংলা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্য়ু। রাজ্যের অনেক জায়গায় দেহ সত্কারে করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। সেই সূত্রেই অমানবিক ঘটনা ঘটে গেল বালুরঘাটে।