করোনায় ফের বড়সড় ক্ষতি বাংলার! চলে গেলেন আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়
শিক্ষাবিদের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সমুদ্রবিজ্ঞানী। বাংলায় স্বাক্ষরতা অভিযানে তিনি প্রথম সারিতে ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- গত দশদিনের বেশি সময় ধরে তিনি মরণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ফের বাংলার বড়সড় ক্ষতি হল বাংলার। চলে গেলেন শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮২ বছর বয়সী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তাঁর অনেক ছাত্র-ছাত্রীও।
শিক্ষাবিদের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সমুদ্রবিজ্ঞানী। বাংলায় স্বাক্ষরতা অভিযানে তিনি প্রথম সারিতে ছিলেন। একাধিক সময়ে স্বাক্ষরতা প্রসারের উদ্দেশে সরকারি প্রকল্পে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাম আমলে তিনি দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় লিখেছেন, ''বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ওশানোগ্রাফি'-র প্রতিষ্ঠাতা -সদস্যও ছিলেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি 'ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন'-এর সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের শিক্ষা জগতে এক বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল।আমি আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের পরিবার-পরিজন, ছাত্র- ছাত্রী ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।''
আরও পড়ুন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আপাতত সুস্থ, জ্বর প্রায় নেই, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া
আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। দিন দশেক আগে করোনা টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। তার পর বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিত্সা শুরু হয়। তবে দিন দশেক লড়াই চালানোর পর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বামপন্থী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়।