নিজস্ব প্রতিবেদন: সদ্য শনিবারই 'সুরে' ফিরেছেন শতাব্দী রায়। অথচ শতাব্দীর বিষয়ে দলের তরফেই খানিকটা 'সুর' কাটল বলে মনে করা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার বীরভূমের (birbhum) রামপুরহাটে ব্যক্তিগত কিছু কাজে এসে পৌঁছেছেন শতাব্দী (satabdi roy)। দুপুর নাগাদ তাঁর সেই কাজ রয়েছে। এদিকে সেই সময়েই তাঁর সঙ্গে দেখা না করেই কলকাতা যাচ্ছেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস ব্যানার্জী (asish banerjee)।


শুক্রবার দিনভর বিক্ষুব্ধ-বেসুরো শতাব্দীকে নিয়ে তৃণমূল তো বটেই, সামগ্রিক ভাবে রাজ্য-রাজনীতিই নড়েচড়ে বসেছিল। তিনিও কি ছেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূল, যোগ দিচ্ছেন বিজেপি-তে--এই মর্মে নানা আলোচনা ভেসে বেড়ায় বঙ্গ রাজনীতির শীতোষ্ণ বাতাসে। শুক্রবার রাতেই শতাব্দী-ইস্যুতে তৃণমূলের তরফে ড্যামেজ-কন্ট্রোল করা হয়। 'সুরে ফেরে'ন শতাব্দী। এমনকি, শনিবার সকালের দিকেই একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের মনের একদা-জমে থাকা ক্ষোভ এবং আলোচনার মধ্যে দিয়েই তা মিটিয়ে নিয়ে দলের পাশে থাকার ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী।



ইতিমধ্যেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দীর দলে গুরুত্বও বাড়ল। তাঁকে করা হল তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি।


প্রথমে 'বেসুরো' ও পরে 'সুরে ফেরা'র ক'দিন-ব্যাপী এই পর্বের পরে রবিবারই প্রথম বীরভূমে এলেন শতাব্দী। রাজনৈতিক কোনও সফর নয়। এসেছেন ব্যক্তিগত কাজে। কিন্তু সেখানে দলের তরফে কেমন আতিথেয়তা তিনি পান বা দলীয় নেতাদের কে কেমন ব্যবহার করেন তাঁর সঙ্গে, তা নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল ছিল জেলা রাজনীতি তথা রাজ্য-রাজনীতিতে। 


আর এই প্রেক্ষিতেই বড় হয়ে দাঁড়াল, শতাব্দীর সঙ্গে বীরভূমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা আশিস ব্য়ানার্জীর দেখা না করাটা। কী বলছেন আশিস? এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আশিস জানান, তিনি থাকছেন না, কলকাতা চলে যাচ্ছেন। আর বিষয়টি কী ভাবে নিচ্ছেন স্বয়ং শতাব্দী, সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়, কেননা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। 


প্রসঙ্গত, আশিস কিন্তু অনুব্রত-গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত। তা হলে কি এখনও দলের তরফে ততটা স্বাগত নন শতাব্দী? অনুব্রতের সঙ্গে কি তাঁর ঠান্ডা লড়াই কোনও ভাবে জারি রয়ে গেল তৃণমূলের নিজস্ব রাজনৈতিক অঙ্গনেই? সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলই তুলে দিচ্ছে এই সব প্রশ্ন।


Also Read: নাটক করে আটকেছে দিদি, BJP-তেই আসবেন Shatabdi, দাবি Soumitraর, জবাব সাংসদ অভিনেত্রীর