Sujata Mandal and Saumitra Khan: আমি থাকতেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, সৌমিত্র সম্পর্কে বোমা সুজাতার

সৌমিত্র খাঁ বলেন, জীবন থেমে থাকে না। জীবন বয়ে যায় নদীর জলের মতো। কার কী অভিযোগ রয়েছে তা আমার দেখে লাভ নেই। পার্সোন্যাল বিষয় নিয়ে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। বিষ্ণুপুর লোকসভা নিয়ে কাজ করছি। এটাই আসল কথা

Updated By: Feb 3, 2023, 02:23 PM IST
Sujata Mandal and Saumitra Khan: আমি থাকতেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, সৌমিত্র সম্পর্কে বোমা সুজাতার

মৃত্যুঞ্জয় দাস: সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের পেছনে অন্য এক নারী। বাঁকুড়া জেলা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। সম্পর্কের মধ্যে সেই ফাটলের জেরেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা উঠেছে আদালতে। পাল্টা সৌমিত্রর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, জীবন থেমে থাকে না।

আরও পড়ুন- ফের জঙ্গি নিশানায় বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে জারি হাই অ্যালার্ট

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতা মন্ডলকে বিয়ে করেন বিষ্ণুপুরের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি। সেই সময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। ২০১৯ সালে সুজাতার কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরনী পার করেন সৌমিত্র। নির্বাচনে জয়ের পরই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর সৌমিত্র সুজাতার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে। আজ সেই মামলার শুনানিতেই হাজির হন বাঁকুড়া জেলা আদালতে।

শুক্রবার আদালত চত্বরে সাংসদ স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুজাতা। সুজাতার দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় নারীর প্রবেশ কোনও স্ত্রী মেনে নিতে পারে না। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী এমনটাই অভিযোগ সুজাতার। স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জানতে পারায় অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়ায়। 

আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সুজাতা মণ্ডল বলেন, মামলা চলছে। এনিয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। চাইব আপনারা একজন নারীর লড়াইয়ে পাশে থাকবেন। যা সত্যি সেটাই লিখুন। আমি থাকতে থাকতেই আমার স্বামী অন্য নারীকে নিয়ে ঘর বাঁধা শুরু করেছে। সেই নারী আমাকে লিখেছেন, আমার বউ আছে বাচ্চা আছে ডিভোর্স হয়নি। ওঁর পেজে কীভাবে ডিভোর্সড লেখা থাকে? উনি নাকি সংবিধান প্রণেতা! যিনি ডিভোর্স না পেয়েও পেজে লিখে রাখেন ডিভোর্সড। আমি যখন দল ছেড়েছিলাম তখন ওর গ্লিসারিন দেওয়া কান্নায় অনেকেই ভুল ভেবেছিলেন। সেদিন আমি সব সহ্য করেছিলাম কারণ আমি বুঝেছিলাম আমাকে বাঁচতে হবে। আপনাদের সবাই আশীর্বাদে আমি বেঁচে রয়েছি। আর আমি বাঁচলেই লড়াই করতে পারব। আমি থাকতে থাকতেই অন্য এক নারীকে তিনি জীবনে জায়গা দিয়েছেন। যার জন্যই উনি ডিভোর্সের আবেদন করেছিলেন। আমি সেদিন ভেবেছিলাম উপরওয়াল এর বিচার করবে। ওঁর পরিবারের অত্যাচার বহু বছর সহ্য করেছি। তাঁর দিদির বিয়ের আগে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার আমার উপরে অকথ্য নির্যাতন শুরু হয়। ভেবেছিলাম স্বামীর জন্য সবকিছুই সহ্য করা করা যায়। সেভাবেই ছিলাম। কিন্তু তিনি অনেকদিন আগে থেকেই অন্য এক নারীকে নিজের জীবনে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি হলেন শিলিগুড়ির বিজেপির জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।

অন্যদিকে, সুজাতা মণ্ডলের অভিযোগ নিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, জীবন থেমে থাকে না। জীবন বয়ে যায় নদীর জলের মতো। কার কী অভিযোগ রয়েছে তা আমার দেখে লাভ নেই। পার্সোন্যাল বিষয় নিয়ে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। বিষ্ণপুর লোকসভা নিয়ে কাজ করছি। এটাই আসল কথা।

সুজাতা বলছেন সম্পর্ক নষ্টের পেছেন ত্রিকোণ প্রেম। কী বলবেন?

সৌমিত্র খাঁ বলেন, আবার বলছি ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে কে কী বলল তাতে কিছু এসে যায় না। মিডিয়াকে বলতে হবে এমনটাও নয়। তৃণমূল কংগ্রেস আমার জীবনের জঘন্যতম অধ্যায়। তাই সেখানে যারাই যাবে তাদের আমি পছন্দ করি না।

শিলিগুড়ির জেলা সভারপতির স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক, সত্যি নাকি?

সৌমিত্রর দাবি, আবারও বলছি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.