Mumbai: ফের জঙ্গি নিশানায় বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে জারি হাই অ্যালার্ট
২০০৮ সালে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, সিএসটি স্টেশন, কামা হাসপাতাল, লিওপোল্ড কাফে-সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শহরজুড়ে তাণ্ডব করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাণিজ্য নগরীকে ফের টার্গেট করেছে জঙ্গিরা! এরকমই একটি ই-মেল এল এনআইএ-র কাছে। সূত্রের খবর, অজানা কোনও ব্যক্তি নিজেকে তালিবান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে মুম্বইয়ের হামলার হুমিক দিয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক শহরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডকে ৯ উইকেটে হেলায় হারিয়ে শেষ চারে বাংলা, প্রতিপক্ষ কে? ভেন্যু কোথায়?
মুম্বই পুলিস সূত্রে সংবাদসংস্থার খবর, 'যে ব্যক্তি এনআইএ-কে ওই হুমকি মেলটি পাঠিয়েছেন তিনি নিজেকে তালিবানি বলে পরিচয় দিয়েছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছে শীঘ্রই মুম্বইয়ে একটি জঙ্গি হামলা হবে।' ওই মেল পাওয়ার পরই এনিয়ে তদন্তে নেমেছে এনআইএ ও মুম্বই পুলিস।
জানুয়ারি মাসেই মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টার ন্য়াশনাল স্কুলে একটি হুমকি ফোন আসে। সেই ফোন এক ব্যক্তি হুমকি দেয় পড়ুয়া-সহ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুল। গতবছর অক্টোবরেও উড়ো ফোন করে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় হামলার হুমকি দেয়। ওই ফোনে বলা হয় মুম্বইয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়াগায় বোমা রাখা রয়েছে। বলা হয়ে ইনফিনিটি মল, পিভিআর মাল্টিপ্লেক্স, সাহারা হোটেলে বোমা লুকনো রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, সিএসটি স্টেশন, কামা হাসপাতাল, লিওপোল্ড কাফে-সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শহরজুড়ে তাণ্ডব করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। তাজ হোটেলকে জঙ্গিমুক্ত করতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিশিষ্ট পুলিস আধিকারিক হেমন্ত কারকারের। পুলিস ও এনএসজির অপারেশনে অধিকাংশ জঙ্গির মৃ্ত্যু হলেও ধরা পড়ে যায় আজমল কাসব। কয়েক বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে তাকে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া হয়। ফলে এনআইএ হুমকি মেল পাওয়ার পর তাকে ছোট করে দেখতে রাজি নয় মুম্বই পুলিস।