মুকুল গড়ে জোর ধাক্কা, অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের পথে এক ডজন পদ্ম নেতা
জানা যাচ্ছে, রীতিমত চিঠি দিয়ে দল ছাড়তে চেয়েছেন বিজেপির জেলা স্তরের ওই নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নেতৃত্বের হাত শক্ত করার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান, বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিতে এসে তৃণমূলের ঘর ভাঙার হুমকি দিয়েছিলেন মকুল রায়। কিন্তু, এবার মুকুল রায়ের খাস তালুকেই বড়সড় রক্তক্ষরণের মুখে পদ্ম শিবির। জেলা স্তরের এক ডজন 'বড় নেতা'-সহ প্রায় দেড় হাজার বিজেপি কর্মী বৃহস্পতিবার যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে।
২৯ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে আজ বেলা ৩টে নাগাদ পলতা স্টেশন চত্বর থেকে রোড শো করবেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের এদিনের প্রচার কর্মসূচিতেই ওই ১২ বিজেপি নেতা-সহ হাজার দেড়েক কর্মীর যোগ দেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- জাতীয় সড়কে চাঁদার জুলুমবাজির প্রতিবাদে রুদ্রমূর্তি রূপার, দেখুন
জানা যাচ্ছে, রীতিমত চিঠি দিয়ে দল ছাড়তে চেয়েছেন বিজেপির জেলা স্তরের ওই নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নেতৃত্বের হাত শক্ত করার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান, বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কোন কোন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন?
১) আলো রানি সরকার (সহ-সভাপতি, বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চা; জোনাল অবজার্ভার, নবদ্বীপ জোন; ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বীজপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী)
২) মনিকা দাস (সহ-সভাপতি, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা, মহিলা মোর্চা)
৩) সুভাষ রাজভোর (মিডিয়া কনভেনার, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা)
৪) সঞ্জয় বিশ্বাস (সাধারণ সম্পাদক, যুবমোর্চা, নৈহাটি)
৫) বীরেন্দ্র সিং (সভাপতি, পাকসু মোর্চা, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা)
৬) অমিত মণ্ডল (সাধারণ সম্পাদক, যুবমোর্চা, ব্যারাকপুর)
৭) শেখর দাস (সাধারণ সম্পাদক, এসসি মোর্চা, কাঁচরাপাড়া)
৮) দিল দাস (সাধারণ সম্পাদক, কাঁচরাপাড়া)
৯) অনুপ বিশ্বাস (সহ-সভাপতি, ব্যারাকপুর)
১০) দীপঙ্কর চক্রবর্তী (সহ-সভাপতি, যুবমোর্চা, ব্যারাকপুর)
১১) রাজীব সূত্রধর (সভাপতি, যুবমোর্চা, কাঁচরাপাড়া)
১২) অরিন্দম শিকদার (সাধারণ সম্পাদক, হালিসহর)
আরও পড়ুন- সিপিআইএম ভেঙে চাই নতুন দল, শ্যামল চক্রবর্তীর পোস্টে মন্তব্য বামমনস্কের
প্রসঙ্গত, নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূলের ঘর ভাঙতে গিয়ে প্রথমেই নাকাল হতে হয়েছিল মুকুলকে। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রার্থী মঞ্জু বসুকে ভাঙিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছিলেন মুকুল রায়। রাজ্য বিজেপির একাংশের অপছন্দ সত্বেও মুকুলের কথায় গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে মঞ্জু বসুর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণাও করে দেওয়া হয়। আর এরপরই মঞ্জু জানান, 'দিদির প্রতি তাঁর আস্থা অটল' এবং তিনি তৃণমূলেই আছেন। এরপরই বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিতে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন মুকুল। সেই ঘটনার পর এদিনের এই দলত্যাগের ঘোষণা যে কাঁচরাপাড়ার ভূমিপুত্র মুকুলকে বেশ খানিকটা ধাক্কা দিল তা স্পষ্ট, মত রাজনীতির কারবারিদের।