Siliguri Murder: পরপুরুষে আসক্তি? ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নামে স্ত্রীকে দু'টুকরো করে তিস্তা ক্যানেলে ফেলল স্বামী!
স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ফাঁসিদেওয়া তিস্তা ক্যানেলে নিয়ে যায় সে। তারপর সেখানেই চাকু দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে। খুনের পর ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করে দেয়। তারপর ধড় ও মুণ্ডু, দুটি আলাদা আলাদা বস্তায় ভরে ক্যানেলে ফেলে দেয়।
নারায়ণ সিংহ রায়: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বলে সন্দেহ স্বামীর! আর সেই সন্দেহ থেকে স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে খুন করে স্বামী! তারপর খুনের পর দেহ দু'টুকরো করে ক্যানেলেও ফেলে দেয় অভিযুক্ত স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড় সংলগ্ন এলাকায়। নিহত গৃহবধূর নাম রেণুকা খাতুন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম এম ডি আনসারুল।
জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা এম ডি আনসারুলের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল রেণুকা খাতুনের। সম্প্রতি ওই গৃহবধূ শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজপাড়ার একটি বিউটি পার্লারে কাজ শিখতে যেতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্ত স্বামী আনসারুল রেণুকাকে নিজের বাইকে করে পার্লারে ছাড়তে আসে। তারপর থেকেই রেণুকা নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনায় মৃতার পরিবার ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যার ভিত্তিতে এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিস।
তদন্তে নেমে স্বামী এম ডি আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। জেরায় আনসারুলের উত্তরে অসংগতি মেলে। যাতেই পুলিসের সন্দেহ হয়। সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে আনসারুলের দিকেই। এরপরই আরও পুলিসি জেরায় চাপের মুখে অভিযুক্ত স্বামী এম ডি আনসারুল স্বীকার করে নেয় যে, স্ত্রী রেণুকা পরকীয়ায় জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করতেন তিনি। তাই ২৪ ডিসেম্বর স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ফাঁসিদেওয়া তিস্তা ক্যানেলে নিয়ে যায় সে। তারপর সেখানেই চাকু দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে। খুনের পর ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করে দেয়। তারপর ধড় ও মুণ্ডু, দুটি আলাদা আলাদা বস্তায় ভরে ক্যানেলে ফেলে দেয়।
অভিযুক্ত স্বামী এম ডি আনসারুলের স্বীকারোক্তির পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিস্তা ক্যানেলে রেণুকার দেহ তল্লাশিতে নামে পুলিস এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ওদিকে, অভিযুক্ত আনসারুলকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান ,'ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ শিলিগুড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। রেণুকা খাতুনের স্বামীর উপর পুলিসের সন্দেহ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে স্বীকার করে নিয়েছে খুনের কথা। দেহ দু'টুকরো করে তিস্তা ক্যানেলে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল তল্লাশি চালাচ্ছে। মেয়ের পরিবারের লোকও রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিসের হাতেও বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে।'
আরও পড়ুন, Belda Murder: ভয়ংকর! চোখের সামনে মার গলার নলি কেটে বাবাকে খুন করতে দেখল ৮ বছর ছেলে...
Vande Bharat Stone Pelting: 'বন্দে ভারতে' হামলাকারী ৪ জনই নাবালক! জানাল রেল