JK Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ শিলিগুড়ির তরুণ, ছেলের জন্য গর্ব হয়, বললেন মা
JK Terror Attack: শহিদ ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভুবনেস থাপা জানান, ছোটবেলা থেকেই ব্রিজেশ সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখত। পরবর্তীতে সেনায় যোগ দিয়ে একাধিক জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছে
নারায়ণ সিংহ রায়: জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন ৫ জওয়ান। ডোডা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরের এক জঙ্গলঘেরা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযানে নেমেছিল সেনা। সেখানেই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ওই ৫ জওয়ান। ওইসব জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ির ব্রিজেশ থাপা। মৃত্যু খবর আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ব্রিজেশের পরিবারে।
আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে তরুণীকে নিয়ে বেরোতেই পুলিসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল জনতা...
জম্মু-কাশ্মীরে গারোয়াল রেজিমেন্টে পোস্টেড ছিলেন শহিদ ব্রিজেশ থাপা। গত রবিবারই বাবা-মায়ের সাথে কথা হয়েছিল। চলতি মাসের শেষের দিকে ছুটিতে বাড়ি আসার কথাও ছিল তার। বাড়িতে জানিয়েছিলেন ৭-৮ ঘন্টা দুর্গম পথ বেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে যাবে আর কিছুক্ষণ বাদে। সেটি ছিল বাবা মায়ের সাথে শেষ কথা। পরবর্তীতে গতকাল রাতে খবর আসে শহিদ হয়েছেন ব্রিজেশ।
শহিদ ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভুবনেস থাপা জানান, ছোটবেলা থেকেই ব্রিজেশ সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখত। পরবর্তীতে সেনায় যোগ দিয়ে একাধিক জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছে। ছেলে দেশের জন্য শহিদ হয়েছে এর থেকে গর্বের আর কিছু হতে পারে না। দেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি হতে হবে এবং বর্ডারে শান্তি থাকলেই দেশে শান্তি থাকবে। আমার বাবাও সেনায় ছিলেন। আমিও ছিলাম। রবিবার সকালে ও ফোন করছিল। ছেলেকে হারিয়ে নিজেকে সামলাতে পারছি না। তার পরেও মনে হচ্ছে, ও দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছে। ওর জন্য গর্ব হয়। যারা সোনায় যোগ দিতে চান তাদের ভাবতে হবে, সেনাকে চাকরি হিসেবে নিলে চলবে না। সেনার জীবন অন্যরকম। অন্যরকম মানসিকতা হতে হয়। তা না হলে সেনায় টেকা মুসকিল।
ছেলেকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন ব্রিজেশ থাপার মা নীলিমা থাপা। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, কাল রাত এগারোটা নাগাদ খবর পাই। একমাত্র সন্তান ছিল। তাকে হারালাম। তবে ওর জন্য গর্ব হয় কারণ ও দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। তার পরেও সন্তান তো হারালাম। এই শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। ও খুব ভালো মানুষ ছিল। ট্রুপেও ও খুব জনপ্রিয় ছিল। এরপরও বলব সেনায় যোগ দিতে হবে। তা না হলে আপনি, আমি নিরাপদে থাকতে পারব না। সবার সঙ্গে এ জিনিস হয় না। আমার স্বামীও করগিল যুদ্ধে, শ্রীলঙ্কার যুদ্ধে গিয়েছিলেন। ওর কিছু হয়নি। গত রবিবারই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলল, এখন বাড়ি যেতে পারব না। তার পরে এমনটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)