Locket Chatterjee: দিদির দূত চড় মারলে পাল্টা দিন; গাছে বাঁধুন, নিদান বিজেপি সাংসদের
বিজেপি নেত্রী বলেন, পঞ্চায়েত তৃণমূলের, সরকার তৃণমূলের। তার পরেও তারা কাজ করবে না? আবার অভিযোগ করতে এলে থাপ্পড় মারা! আমি থাকলে উল্টো চরটে থাপ্পড় মারতাম।
বিধান সরকার: মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু তা করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তাঁরা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখেও পড়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে এক ব্যক্তি দিদির সুরক্ষাকবচে অভিযোগ জানাতে এলে তাঁকে চড় মারেন এক তৃণমূল নেতা। এনিয়ে এবার সরব হলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-দিদির সুরক্ষাকবচে অভিযোগ জানাতে এসে জুটল চড়, খাদ্যমন্ত্রীর সামনেই আক্রান্ত ব্যক্তি!
বলাগড়ে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারের দাবিতে ধরনা দিচ্ছে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ধরনা মঞ্চে এসে আজ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, চুরি করবে, আবার চড় মারবে! চড় মারলে ধরে ৪-৫টা দিয়ে দিন। দিদির দূতরা অভিযোগ শুনতে না চাইলে তাদের গাছে বেঁধে রাখুন।
বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, পঞ্চায়েত তৃণমূলের, সরকার তৃণমূলের। তার পরেও তারা কাজ করবে না? আবার অভিযোগ করতে এলে থাপ্পড় মারা! আমি থাকলে উল্টো চরটে থাপ্পড় মারতাম। একই জিনিস বহুরূপীর মতো দিদির দূত, দিদির সুরক্ষা কবচ-সহ নানা রকম ভাবে আসছে। সব চোর-ডাকাত। দিদির দূত আসছে। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত এরা দুর্নীতিতে ডুবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার এরা বলছে, কী সমস্যা রয়েছে? অসুবিধে তো ওরাই। চড় মারলে ছেড়ে দেবেন না।
উল্লেখ্য, 'দিদির সুরক্ষা কবচ'-এ অভিযোগ জানাতে এসে মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই ইছাপুরে আক্রান্ত হতে হল স্থানীয় এক বাসিন্দাকে। অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সাগর বিশ্বাসকে মন্ত্রীর সামনেই রীতিমতো চড় মেরে ধাক্কা দিতে দিতে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায়। এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে আক্রান্ত যুবক যাতে মুখ খুলতে না পারে,তারও ব্যবস্থা করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা।
যদিও পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এই নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। প্রথমে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের থেকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে আক্রান্ত যুবকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। উল্লেখ্য, দত্তপুকুরে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যান মন্ত্রী রথীন ঘোষ। সাধারণ মানুষের কাছে সমস্যার কথা শুনছিলেন তিনি। এরপর এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা নিজের অভাব-অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। ঠিক সেই সময় আচমকা চড় মারেন ওই তৃণমূল কর্মী, এমনটাই অভিযোগ।