ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, পরকীয়ার ‘কাঁটা’ খতরনাক রামুয়াকে সরাতে ছক স্ত্রী কাজলের

একটি লেডিস ব্যাগের মধ্যে গজে মোড়া চার রাউন্ড কাতুর্জও উদ্ধার হয়। রামুয়ার স্ত্রী কাজলই সেগুলি পুলিসের হাতে তুলে দেয়। 

Updated By: Jan 21, 2019, 05:49 PM IST
ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, পরকীয়ার ‘কাঁটা’ খতরনাক রামুয়াকে সরাতে ছক স্ত্রী কাজলের

নিজস্ব প্রতিবেদন:   ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার পরিকল্পনা ছিল রামুয়াকে।  রাস্তা থেকে আস্ত থান ইট তুলে ঘরে রাখা হয়েছিল। সোদপুরে কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়া খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।  সোমবার সোদপুরের অমরাবতীর দক্ষিণায়নে রামুয়ার ফ্ল্যাট  খুনে ধৃত  স্ত্রী, ছেলে ও অন্যান্য তার বন্ধুদের  নিয়ে  তল্লাশি চালায় পুলিস। উদ্ধার হয় গুলির খোল। একটি লেডিস ব্যাগের মধ্যে গজে মোড়া চার রাউন্ড কাতুর্জও উদ্ধার হয়। রামুয়ার স্ত্রী কাজলই সেগুলি পুলিসের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়।  

রামুয়া খুনে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।  মোস্ট ওয়ান্টেড হাওড়া কুখ্যাত তোলাবাজ রামুয়া খুনে প্রথমে উঠে আসছিল  গ্যাংওয়ার-এর কথা। ১৯৯৬ সালে তোলার টাকা না পেয়ে হাওড়ায় মুন্না সিং নামে এক ব্যবসায়ীর মাথা কেটে ফুটবল খেলেছিল রামুয়া। এরপরও তার দুই সঙ্গীকে খুন করে দুটো করে হাত কেটে দেহ লোপাট করে দিয়েছিল সে। সেই রামুয়াকে যে খুন হবে স্ত্রী, পরিবারের হাতেই- তা প্রথমটায় ভাবায়নি পুলিসকে।

আরও পড়ুন: পরকীয়ায় পথের কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে নিয়ে স্বামী রামুয়াকে খুনের ছক

কিন্তু স্ত্রী কাজল ও ছেলের কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় পুলিস অন্যভাবে ভাবতে শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় রামুয়ার স্ত্রী, ছেলেকে। জেরায় প্রথমে স্ত্রী জানায়, রামুয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই তাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছে সে। সঙ্গ দিয়েছে ছেলে ও তার বন্ধুরা। কিন্তু তদন্ত যত এগোতে থাকে, ঘটনার মোড় নেয় অন্য।  জানা যায়,  পরিবারের হাতেই খুন হতে হয়েছে ‘খতরনাক’ দুষ্কৃতী রামুয়াকে।  ছেলেকে জেরা করা উঠে আসে কার্তিক যাদবের নাম।

আরও পড়ুন: বেসরকারি হোটেলেই শাহ-র হেলিপ্যাড, জটিলতা শেষে প্রেস বিবৃতি রাজ্য বিজেপির

 রামুয়ার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় কার্তিক যাদব নামে আরও এক ব্যক্তিকে। জানা যায়, এই ব্যক্তির সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রামুয়ার স্ত্রী কাজলের। জেরায় স্ত্রী কাজল দেওয়ার কবুল করে, কার্তিক যাদবের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য রোজ দাম্পত্য কলহ হত। স্বামী রামুয়ার সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগেছিল। এই পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পথের কাঁটা সরাতেই প্রেমিক কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে রামুয়াকে খুনের ছক কষে সে। রামুয়ার বিশাল সম্পত্তির দখল নেওয়ার জন্যও খুনের ছক কষেছিল কার্তিক। খুনের জন্য ছেলের ৩ বন্ধুকে ৪ লাখ টাকার সুপারি দেয় কার্তিক যাদব। তার মধ্যে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। কাজ হয়ে যাওয়ার পরে বাকি টাকা মেটানোর কথা  ছিল কার্তিকের।

 

.