সরানো হল অধীরকে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন সোমেন মিত্র
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন সোমেন মিত্র। শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে অশোক গেহেলোত এখবর জানিয়েছেন। অপসারিত সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রচার কমিটির সভারপতি করা হল। সমন্বয় কমিটির সভাপতি হলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরিয়ে দেওয়া হল অধীর চৌধুরীকে। প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন সোমেন মিত্র। শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে অশোক গেহেলোত এখবর জানিয়েছেন। অপসারিত সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রচার কমিটির সভারপতি করা হয়েছে। সমন্বয় কমিটির সভাপতি হলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।
অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস ক্রমশ ক্ষমতা হারাচ্ছিল বলে বার বার অভিযোগ পৌঁছচ্ছিল হাইকম্যান্ডের কাছে। অধীর জমানায় নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা। একার সিদ্ধান্তে তীব্র তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। দলীয় নেতা-কর্মী-বিধায়কদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানও এড়াতে পারছিলেন না অধীর। এমনকী মৌসম নুরের মতো সাংসদও কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক। সব মিলিয়ে অধীরকে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই ছিলেন রাহুল গান্ধী। তাই মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে সরিয়ে আনা হল সোমেন মিত্রকে।
স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মার, পেটে লাথি
ওদিকে দীর্ঘ রাজনৈতিক নির্বাসনের পর ফের কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসলেন সোমেন মিত্র। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তিনি। এর পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদও হন তিনি। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন সোমেনের স্ত্রী শিখা। তবে তৃণমূলের সঙ্গে সোমেনের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ফের কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এবার তাঁর কাঁধে ধুঁকতে থাকা প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব। শেষ পর্যন্ত শিয়ালদার ছোড়দা কতটা সফল হন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।