School College Reopen: 'আমি স্কুলে যেতে চাই', হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ সামিল খুদে পড়ুয়ারাও
প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া লোধ বলে, সে স্কুল যেতে চায়। কথা বলতে চায় বন্ধুদের সাথে। টিফিন একসাথে ভাগ করে খেতে চায়। বন্ধুদের সাথে খেলতে চায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গলায় ঝুলছে প্ল্যাকার্ড। আর তাতে লেখা, 'আমি স্কুলে যেতে চাই।' জিজ্ঞাসা করলেই বলছে, 'বন্ধুদের সাথে গল্প করতে চাই। একসাথে টিফিন খেতে চাই। খেলতে চাই।' স্কুল খোলার (School College Reopen) দাবিতে এমনই অভিনব বিক্ষোভ দেখা গেল শিলিগুড়িতে (Siliguri)।
এদিন রাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলার (School College Reopen) দাবিতে শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রাধান পোস্ট অফিসের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হন অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যারা। সেই বিক্ষোভ অবস্থানেই গলায়, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সামিল হতে দেখা যায় ছোট্ট স্কুল পড়ুয়াদেরও। সেই বিক্ষোভেই অংশ নেওয়া শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া লোধ বলে, সে স্কুল যেতে চায়। কথা বলতে চায় বন্ধুদের সাথে। টিফিন একসাথে ভাগ করে খেতে চায়। বন্ধুদের সাথে খেলতে চায়।
অন্যদিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষিকা রীতা ঠাকুর বলেন, "স্কুল খোলার জন্য স্বাধীনতার এত বছর পরও আন্দোলন করতে হচ্ছে, এমন চিত্র মানুষ আগে দেখেনি। পানশালা থেকে মেলা, মিটিং, মিছিল সবই চলতে পারে! বন্ধ থাকবে শুধু স্কুল? বিভিন্ন অনলাইন সংস্থাগুলোকে শুধুমাত্র সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। অন্যদিকে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নিয়ে এলেন, 'পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়'! হাস্যকর সিদ্ধান্ত। কিন্তু কেন শিক্ষালয়ে শিক্ষা নয়? সেটাই আমাদের প্রশ্ন। তামিলনাড়ু সহ মহারাষ্ট্রের মত জায়গায় যদি স্কুল, কলেজ খুলতে পারে, তাহলে আমাদের রাজ্যে নয় কেন?"
শুধু শিলিগুড়ি নয়, কোচবিহারেও (Cooch Behar) দেখা গেল একই ছবি। 'আমরা স্কুলে যেতে চাই' প্ল্যাকার্ড হাতে কোচবিহারের হরিশপাল চৌপথীতে ক্ষুদিরামের মুর্তির সামনে স্কুল খোলার দাবিতে (School College Reopen) বিক্ষোভে সামিল হল শিশু-কিশোর কমসোমল সংগঠন। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর বন্ধ স্কুল। মাঝখানে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হলেও, থার্ড ওয়েভের জেরে ফের বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। এখন সরকারের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে 'পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়' খোলা হবে। কিন্তু তা মানতে নারাজ বিভিন্ন সংগঠন। শিশু-কিশোর কমসোমল সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অবিলম্বে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলতে হবে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেয়।
প্রসঙ্গত, আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্কুল খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান যে, স্কুল খোলা নিয়ে সাবধানী রাজ্য। স্কুল খোলার আগে ৮৫ শতাংশ পড়ুয়ার প্রথম দফার টিকাকরণ শেষ করতে চায় সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি আবার হাইকোর্টে মামলাটির পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন, 'আমরা শীঘ্র আসছি', বাঁকুড়ায় মাও পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২