কংগ্রেসের হাত ধরে গর্ব বোধ করছি, অধীরের সংবর্ধনায় বললেন সিপিএমের সুজন
বুধবার বিধানসভায় অধীরকে সংবর্ধনা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী। আলিমুদ্দিনও এব্যাপারে ইতিবাচক। বুধবার সেই জোটের এক টুকরো ছবি বিধানসভায় অধীরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সেখানে হাজির থাকলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুধু উপস্থিত থাকলেন না, বরং রাখঢাক না করেই সুজন বলে দিলেন, বাংলায় কংগ্রেসের হাত ধরেই লড়াই করবে বামেরা।
লোকসভায় অধীর চৌধুরীকে দলনেতা নির্বাচন করেছে কংগ্রেস। বুধবার বিধানসভায় অধীরকে সংবর্ধনা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। জোটের সওয়াল করে সুজনবাবু বলেন, ''দিল্লিতে ও রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে বাস্তব কারণে আমরা একসঙ্গে চলছি। আজ গর্বিত লাগছে। নেহরুর নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত এগিয়ে চলেছিল। আজ তার সর্বনাশ করা হচ্ছে। দিল্লিতে যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এটা আমাদের গর্ব। লড়াই জোরদার ও তেজি হবে। বাংলায় আমরা লড়াইয়ে থাকব। অধীরবাবুর লড়াই আমাদের শক্তি দেবে।''
অধীর চৌধুরীর কথায়,''বাম-কংগ্রেস একাত্মবোধ উঁচুতলায় না নিচুতলাতেও করতে হবে। আগামীদিনে ভারতের রাজনীতিতে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হচ্ছে। শ্বাস রোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। চিদম্বরমের কী হল?''
প্রদীপ ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, কংগ্রেস-বামপন্থীদের লড়াই বিধানসভায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, রাস্তায় এক হতে হবে। আগামীদিনে কংগ্রেস-বাম একসঙ্গে হলে বিজেপি আসতে পারবে না।
অতিসম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সোমেন মিত্র। সূত্রের খবর, সনিয়া স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রুখতে হবে। তৃণমূলকে নিয়ে আপাতত ভাবনা নেই। কিন্তু বিজেপিকে কোনওভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। গেরুয়া শিবিরকে বামেদের হাত ধরার ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, বামেরা রাজি থাকলে এখনই সমঝোতা পাকা করে ফেলা হোক।
আরও পড়ুন- আমাকে, দিলীপকে ও কৈলাসকে খুনের ষড়যন্ত্র করছেন মমতা, বিস্ফোরক মুকুল