বনধে নেই বামেরা, জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন, আহ্বান সূর্যকান্তর
এদিন সূর্যবাবু বলেন, 'সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক মেরুকরণের উদ্দেশ্যে বিজেপি বনধ ডেকেছে। আমরা বামপন্থীরা রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন করছি, এই বনধ প্রত্যাখ্যান করুন। শান্তিপূর্ণভাবে জনজীবন অব্যহত রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে জল ঘোলা করেছেন আর বি জে পি এখানে সেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইলসামপুরের দাঁড়িভিটে ২ ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। বিজেপির এই বনধে যে বামেরা নেই তা তা আগেই স্পষ্ট করেছেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু। বনধের আগের দিন ফের একবার বনধ নিয়ে বামেদের অবস্থান জানালেন সিপিএমের রাজ্য সভাপতি সূর্যকান্ত মিশ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, বার বার বিবৃতি জারি করে আসলে বাম নেতাকর্মীদের বার্তা দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। কোনও ভাবেই যেন বিজেপির বনধে মাঠে না-নামেন তাঁরা।
এদিন সূর্যবাবু বলেন, 'সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক মেরুকরণের উদ্দেশ্যে বিজেপি বনধ ডেকেছে। আমরা বামপন্থীরা রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন করছি, এই বনধ প্রত্যাখ্যান করুন। শান্তিপূর্ণভাবে জনজীবন অব্যহত রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে জল ঘোলা করেছেন আর বি জে পি এখানে সেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। দুই পক্ষই বাহুবলের আস্ফালন দেখাচ্ছে। কিন্তু এগুলো সিনেমার ফাইটের মতো। শ্যুটিংয়ের বাইরে ওরা একজায়গাতেই আছে। আমরা তাই মানুষকে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য আবেদন করছি। আমাদের বামপন্থীদের অধিকার যাত্রা চলছে, বুধবারেও তা পথে থাকবে। ইসলামপুরের ছাত্রহত্যার ঘটনায় আমরা বামপন্থীরা উচ্চস্তরীয় বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। মানুষকে এই দাবির পাশে থাকার আবেদন করছি।'
ইসলামপুর কাণ্ডের ডিভিডেন্ট ঘরে তুলতে জোর প্রতিযোগিতা চলছে দুই বিরোধী দলের মধ্যে। মঙ্গলবার ধর্মতলায় বিজেপির কর্মসূচির পরই একই ইস্যুতে সেখানে কর্মসূচি ছিল বামেদেরও।