Suvendu Adhikari: 'নন্দীগ্রামে আমি আন্দোলন না করলে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতেন না'!

শুভেন্দু অধিকারীর মুখে নন্দীগ্রাম-প্রসঙ্গ। বললেন, 'ভুল আমার আছে'। 'পাগলামির লক্ষণ', পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

দেবারতি ঘোষ: ১৬ বছর পার। শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এবার নন্দীগ্রাম-প্রসঙ্গ। বললেন, 'আমি যদি নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ে নন্দীগ্রাম না করতাম।  দিদি থেকে দিদিমা হতে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতেন না'।

সালটা ২০০৭। রাজ্যে তখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বামেরা। স্রেফ সিঙ্গুর নয়, তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খবরে শিরোনামে চলে এসেছিল নন্দীগ্রাম। রক্ত ঝরেছিল! কীভাবে? ১৪ মার্চ পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। 

জমি আন্দোলনের সময়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু। এখন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বস্তুত, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হন একুশের বিধানসভা ভোটে। হারিয়ে দেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  এদিন দক্ষিণ ৪ পরগনার বারুইপুরে এক জনসভায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, 'আমারও ভুল ছিল'। 

চুপ করে থাকেনি তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আন্দোলনে, সেটা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, একুশে জুলাই, সারা বাংলাতে যে আন্দোলন আছে, তার অজস্র বাই প্রোডাক্ট আছে। তার মধ্যে শুভেন্দু একটা বাই প্রোডাক্ট। ফলে শুভেন্দু যদি নিজেকে ভেবে ফেলে, ও তৃণমূলের উর্ধ্বে গিয়ে... বা ওর জন্য তৃণমূল হয়েছে। হাস্যকর বিষয়'! তাঁর কটাক্ষ, 'মাথার মধ্যে পাগলামির লক্ষণ দেখা দিলে, এসব কথা বার্তা বলে'।