মমতাকে খাওয়াতে চান নয়া বাদাম চাট! রাত জেগেও দিদির সঙ্গে দেখা হল না মুখ্যমন্ত্রীর 'প্রিয়' বিক্রেতার
ঘটিগরম কাকুর কথা শুনে তাঁর জন্য জমি ও বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের তরফে রামনগরে একটি জায়গা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসনকে ফেরত দিয়ে দেন। পরিবর্তে চেয়েছিলেন একটি স্টল, মেলেনি তাও। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তিনি।
কিরণ মান্না: দিদির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্যে রাতভর দীঘার (Digha) সমুদ্রপাড়ে অপেক্ষা করেও মিলল না দেখা। নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছেও নেই ঘটি গরম কাকুর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি নেই। আক্ষেপ রয়ে গেল দীঘার সেই ঘটিগরম কাকুর অর্থাৎ আজকের বাদাম চাট বিক্রেতার। প্রতিবার দীঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এলেই খোঁজ পড়ে সেই ঘটি গরম কাকু স্বরাজ ভট্টাচার্যের। ঘটি গরমের সুস্বাদু ঝুরিভাজা খেয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝুরিভাজা খেতে খেতে বাদাম কাকুর সমস্যার কথাও শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমএ পাস এই ঘটি গরম কাকুর দুরবস্থার কথা ভেবে গতবারই মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার জন্য একটি জমি ও তার উপর বসবাসের ঘর করে দেওয়ার।
কিন্তু জেলা প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা না করে দেওয়ায় ফের দিদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সমস্যার কথা জানাবেন বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সেই ঘটি গরম কাকু। খবরের কাগজের মোড়কে দেওয়া খাবারে বিষাক্ত কালি শরীরে ঢোকে। সৈকত শহরে ঠোঙার দূষণ রুখতে অনেক আগেই এগিয়ে এসেছিলেন ঘটিগরম বিক্রেতা স্বরাজ ভট্টাচার্য। তিনি খবর কাগজের পরিবর্তে দিঘায় আসা পর্যটকদের অ্যাসিড ফ্রি কাগজে ঘটিগরম খাইয়ে পর্যটকদের নজর কেড়েছিলেন।
নজর এড়ায়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি দিঘা সফরে এসে আগে বেশ কয়েকবার স্বরাজ বাবুকে ডেকে ঘটিগরম খেয়েছিলেন। স্বরাজ বাবু ছোট্ট একটি ভাড়া বাড়িতে বহু কষ্ঠে দিন যাপন করে জেনে মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে পাট্টা জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের তরফে রামনগরে একটি জায়গা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসনকে ফেরত দিয়ে দেন। তার পরিবর্তে দিঘায় একটি স্টল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাও দেওয়া হয়নি। বারবার ঘুরেও স্টল না মেলায় হতাশ ঘটিগরম কাকু।
রামনগরের বাসিন্দা স্বরাজ ভট্টাচার্য্যের দাবি, 'সুগার বাড়ায় চিকিৎসক বেশি হাঁটতে বারণ করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে জায়গা আমায় দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গা ফেরত দিয়ে দিঘায় একটা স্টল দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। বারবার ঘুরেও মেলেনি কোন সদুত্তর। তাই একবার দিদির সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলাম। দিনভর অপেক্ষা করেছিলাম। দিদিকে যদি আমার হাতের তৈরি নতুন রেসিপি বাদাম চাট খাওয়াতে পারি। ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এখনও হয়ে উঠলো না।'