Sabang: ভেঙে পড়েছে ক্লাসরুম, কাঠফাটা রোদে গাছের নিচে পড়ুয়ারা

ঠিকাদার জানিয়েছেন পর্যাপ্ত মজুর এবং বালি না পাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে

Updated By: Apr 27, 2022, 10:22 AM IST
Sabang: ভেঙে পড়েছে ক্লাসরুম, কাঠফাটা রোদে গাছের নিচে পড়ুয়ারা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্লাসরুম নেই। রোদের মধ্যে বাধ্য হয়ে গাছের তলায় ক্লাস সবংয়ের দশগ্রাম হরেকৃষ্ণ আংশিক বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।

গাছের ফাঁক দিয়ে মাথায় পড়ছে রোদ। এর মধ্যেই পড়ুয়ারা বসে ত্রিপলের উপর। শিক্ষিকা একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে ক্লাস করাচ্ছেন। আর পড়া মুখস্থ করছে কচিকাঁচারা।

সবং থানার দশগ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণ আংশিক বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের সামনে এই দৃশ্য দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের খোলা আকাশের নিচে বসে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। 

শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন তীব্র গরমে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের মাত্রও তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। তার মধ্যে একটির বেহাল দশা হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই জায়গায় নতুন একটি একতলা ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাসেও সেই কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার।

আর বাকি দুটি কক্ষে যে পঠনপাঠনের উপায় নেই। কারণ, ভেঙে ফেলা ঘরের যাবতীয় সামগ্রী ঠাসা ওই দুটি ঘরে। ফলে বাধ্য হয়ে কচিকাঁচাদের বিদ্যালয়ের বাইরে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসাতে হচ্ছে। কিছু পড়ুয়াকে বসাতে হচ্ছে রাস্তার ধারে গাছের নিচে।

কয়েকজনকে বসানো হয়েছে স্কুলের পাশে পুকুরপাড়ে। আবার কিছু পড়ুয়াকে বসানো হচ্ছে পাশের একটি ক্লাব প্রাঙ্গণে। এই বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষিকা, এক শিক্ষক এবং ১২৪ জন পড়ুয়া রয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কাকলি মাইতি বলেছেন, "এই পরিস্থিতির জন্য ঠিকাদার দায়ী। তাছাড়া এই স্কুলটি অনেক পুরনো, সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ঠিকাদার নতুন ভবন তৈরির কাজ অসমাপ্ত রেখে দিয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়ে এই গরমের সময় পড়ুয়াদের খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হচ্ছে। বিষয়টি বিডিওর কাছে জানানো হয়েছে।" এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সন্ধ্যে হলেই স্কুলের মধ্যে গাঁজা-মদের আড্ডা বসে। স্কুলের চারিধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মদের বোতল।

আরও পড়ুন: Weather Today: মহানগরে নামল তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহ জারি রাজ্যে

এই ব্যাপারে সবং পশ্চিম চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক দিলীপ আদক এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, এটা ম্যাডামের কাছ থেকে তিনি শুনেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন স্কুলটির অবস্থা সত্যিই খারাপ এবং এর জন্য ঠিকাদারের গাফিলতি দায়ী।

অন্যদিকে ঠিকাদার কুতুবুদ্দিন জানিয়েছেন পর্যাপ্ত মজুর এবং বালি না পাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। দুদিনের মধ্যে আবার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.