দাউ দাউ করে জ্বলছে ঘর, ভিতরে শিশু-সহ জীবন্ত পুড়ল দম্পতি
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটি কি নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে ডে শিফট শেষ করে বাড়ি ফেরেন বাস চালক কুশ। রাতের খাওয়া সেরে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগুনে পুড়ে মা ও শিশুকন্যার রহস্যমৃত্যু। অগ্নিদগ্ধ বাবাও। বারাসাতের নীলগঞ্জের সদরপুরের ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। নিছক দুর্ঘটনা না অন্যকিছু? উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন: চলন্ত তুফান এক্সপ্রেসে আগুন
রবিবার মাঝরাতে চামড়া গন্ধ পেয়ে টনক নড়ে প্রতিবেশীদের। ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখেন পেশায় বাসচালক কুশ ঘোষের বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছে আর্তনাদ। স্থানীয়রাই আগুন কোনওরকমে নিভিয়ে ঘরের ভিতর থেকে কুশ ঘোষ, তাঁর স্ত্রী কাজল ও শিশুকন্যা সায়নীর পোড়া দেহ উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাদের বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান কাজল। বাবা-মেয়েকে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হলে মারা যায় ছোট্ট সায়নী। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কুশ ঘোষ।
আরও পড়ুন: অকথ্য যৌন অত্যাচারের পর গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল ধাতব বস্তু, বেরিয়ে এল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ!
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটি কি নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে ডে শিফট শেষ করে বাড়ি ফেরেন বাস চালক কুশ। রাতের খাওয়া সেরে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: জলভর্তি বালতিতে ডুবে মৃত্যু মেটিয়াবুরুজের দেড় বছরের শিশুর
মাঝরাতে আচমকাই ঘরে আগুন দেখতে পান আত্মীয়-পরিজনরা। দরজা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা হয়। ততক্ষণে তিনজনেরই দেহের একশো শতাংশই পুড়ে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। বন্ধ ঘরে কীভাবে আগুন লাগল? খতিয়ে দেখছে বারাসাত থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।