Bimal Gurung: পাহাড়ে মাটি হারিয়েছে GJM, অনুভূতি হতেই গুরুংকে অনশন প্রত্যাহারের পরামর্শ দলের নেতাদের
বিমলের অনশনের আজ তৃতীয় দিন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মীদের কথায় তার শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা আসেনি।
নারায়ণ সিংহ রায়: অনশনের জুজুতে কাজ হচ্ছে না বুঝে গিয়েছে দল। গুরুংকে অনশন ভাঙার অনুরোধ করলেন খোদ দলের নেতারা।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কার্যকারী সভাপতি লোপসাং লামার বক্তব্য, "আমাদের সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমল গুরুংকে অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, কিন্তু তিনি রাজি হচ্ছেন না। তিনি বলছেন রাজ্য থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন প্রকার বার্তা আসছে ততক্ষণ তিনি অনশনে বসে থাকবেন। আমরা চেষ্টা করছি। পাশাপাশি রাজ্যও যেন শীঘ্রই কোনও পদক্ষেপ নেয় অথবা দেখা করে।"
বিমলের অনশনের আজ তৃতীয় দিন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মীদের কথায় তার শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা আসেনি। সদ্য তৈরি হওয়া ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এস.পি শর্মা শুধুমাত্র বিমলের সঙ্গে দেখা করেছেন।
জল না মেপেই তুরুপের তাস ব্যাবহার যে অপব্যাবহারে পরিণত হয়েছে তা দলের অন্যান্য পদাধীকারীদের সঙ্গে বিমলও বেশ বুঝতে পারছেন। কাজেই দলের সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কর্মীরাই তাকে অনশন থেকে উঠতে বলেছেন। যদিও তিনি মানতে নারাজ। এদিকে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তবে রাজ্য থেকে যদি কোন বার্তা আসে তাহলেই বিমল কিছু ভাববেন বলে জানাচ্ছেন দলের কার্যকারী সভাপতি লোপসাং লামা।
অন্যদিকে বিমলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন অজয় এডওয়ার্ড। সেই সময় গো ব্যাক স্লোগান দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মীরা।
অনশনের তৃতীয় দিনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং ডায়বেটিস এবং ব্লাড প্রেসার থাকার কারনে তার শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ, দার্জিলিং জেলা সাংসদ রাজু বিস্তা। তবে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন অজয় এডওয়ার্ডের দিকে।
আরও পড়ুন: Bandel Junction: বদলে যাচ্ছে ব্যান্ডেল স্টেশনের সব প্ল্যাটফর্ম নম্বর
একাই বাইকে করে সিংমারি পৌঁছান হামরো পার্টির সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড। সোজা অস্থায়ী অনশন মঞ্চে পৌঁছে বিমল গুরুংয়ে পাশে বসেন তিনি। যদিও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মী সমর্থকদের স্লোগান শুরু হয়ে যায়। "গো ব্যাক" স্লোগান তোলেন তারা। কর্মীদের স্লোগান ছিল "জিটিএ সমর্থনকারী গো ব্যাক"।
দশ মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে ফিরে যান অজয়। তিনি জানান, "বিমল গুরুং অনশনে বসেছেন, কিন্তু আমি আজই জানতে পারি তার ডায়বেটিস ও বিপি রয়েছে। সেই জন্য মানবিকতার খাতিরে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে আসি। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। শুধুমাত্র মানবিকতার খাতিরেই এসেছি।" তবে কর্মীদের গো ব্যাক স্লোগানে কিছুই বলেননি অজয় এডওয়ার্ড।