মৃত্যুপুরী মহিষাদল! কাঁচা গাছ পুঁতে নিজেরাই বিদ্যুতের তার ঝোলাচ্ছেন গ্রামবাসীরা
বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখার জন্য কাঁচা গাছ ব্যবহার! তাও আবার বিদ্যুৎ কর্মীদের অনুপস্থিতিতে! প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি। বেশিরভাগ এলাকা এখনও বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে অত্যুত্সাহী কয়েকজন কাঁচা লম্বা গাছ মাটিতে পুঁতে বানিয়েছেন বিদ্যুতের খুঁটি। আর গোটা এলাকাকে তৈরি করেছেন মৃত্যুপুরী! পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে গেলে দেখা যাবে ভয়ঙ্করকাণ্ড।
মহিষাদলের ইটামগরা - ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা এখন মৃত্য়ুপুরী। যে কোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পুরো ব্লকে প্রায় ২০০০ হাজার ইলেকট্রিক খুঁটি ভেঙে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইলেকট্রিক সাবষ্টেশনও। দিনরাত এক করে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করে চলেছে। তাস্বত্বেও এখনও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা যায়নি। তা বলে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখার জন্য কাঁচা গাছ ব্যবহার! তাও আবার বিদ্যুৎ কর্মীদের অনুপস্থিতিতে! প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?
তাঁদের যুক্তি আরও ভয়ঙ্কর। ঝড়ের পর প্রায় ১৫ দিন কেটে গেছে তাতেও ঠিক হয়নি বিদ্যুত পরিষেবা। জল তোলার সমস্যা হচ্ছে। তাই বিপদ জেনেও স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে নাকি তাঁরা অনুমতি নিয়ে এটা করছেন।
কী বলছেন পঞ্চায়েত কর্তা?
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গলায় অন্য সুর। পঞ্চায়েত থেকে লিখিত বা অলিখিত কোন নির্দেশই নাকি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: 'বাবু মুরগির দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের!' ছুটির দিনে খালি মাংসের দোকান, মুত্স্যমুখী বাঙালি
পঞ্চায়েত অবশ্য জানে সব কথা। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, এতদিন বিদ্যুত্ না থাকায় গ্রামবাসীরা এতটাই ক্ষিপ্ত আছেন, যে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারছেন না।