Anubrata Mondal: বেড়েছে ফিসচুলার সমস্যা, হচ্ছে রক্তপাত! জেলে বসেই কেষ্টর ওজন বাড়ল ৪ কেজি
২০ ফেব্রুয়ারি তার চিকিৎসা হয়েছিল এই জেলা হাসপাতালেই। সেদিনও মোটামুটি এই ধরনের রিপোর্টই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ সেই ভাবে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। তার শরীর যে সুস্থ রয়েছে তা জেলা হাসপাতালে সুপার ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়ে দেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুব্রত মন্ডলের ওজন ৯১ কেজি থেকে বেড়ে হল ৯৫ কেজি। পালস রেট রয়েছে ৮৮, ব্লাড প্রেসার ১০৬ /৮০। অক্সিজেন লেভেল রয়েছে ৯৬ শতাংশ। র্যানডাম সুগার টেস্টের ফল ১৩৬।
অনুব্রত মণ্ডলের ফিসচুলার যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালের সার্জেন চিকিৎসক এ আহমেদ চিকিৎসা করেন। তিনি তার রিপোর্টে লিখেছেন একিউট এমার্জেন্সি কিছু নেই অর্থাৎ এখন সার্জারি করার প্রয়োজন নেই। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিত কুমার চন্দ চিকিৎসা করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি তার চিকিৎসা হয়েছিল এই জেলা হাসপাতালেই। সেদিনও মোটামুটি এই ধরনের রিপোর্টই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ সেই ভাবে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। তার শরীর যে সুস্থ রয়েছে তা জেলা হাসপাতালে সুপার ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়ে দেন।
তাহলে ভার্চুয়ালি যে শুনানি হয়েছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সেদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন তার ফিসচুলা সমস্যা রয়েছে। মাঝেমাঝে রক্তপাত হচ্ছে। রক্তপাতের সময় অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেছিলেন সবথেকে ভালো চিকিৎসা করানো হবে। তার ব্যবস্থা তিনি নিশ্চয়ই করবেন। যদিও এর পরে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদেরকে বিশেষ কিছু লক্ষ্য করলেন না। অর্থাৎ অনুব্রত মন্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা সংক্রান্ত কোন বাধা থাকলো না বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে হাইকোর্টে অনুব্রতর পক্ষে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন ইডি মৌখিক একটা আশ্বাস দিয়েছিল যে এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে না। এর উত্তরে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘মৌখিক আশ্বাসের কথা বলছেন। কিন্তু সেটা রেকর্ড করানোর জন্য বলেননি? এখানে সরকারি কৌঁসুলি ও অনেক সময় মৌখিক আশ্বাস দেয়। এই মলামলায় মৌখিক আশ্বাস নিয়ে চার মাস অপেক্ষা করলেন কি ভাবে?’
অনুব্রতর পক্ষে জানানো হয়, ‘এটা সম্পূর্ণ বিশ্বাস আইনজীবীর ওপর। একে ওপরের বিশ্বাস’। বিচারপতি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘সেটা হতে পারে। কিন্তু কেউ আশ্বাস দিলে সেটা রেকর্ড করতে বলবেন না?’ এতে অনুব্রতর পক্ষে জানানো হয় যে খবরে এই কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুব্রতর পক্ষে আরও বলা হয় যে, ‘ফিসচুলার সমস্যা বেড়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট মামলা হয়েছে। সেখানে ১৭ তারিখ শুনানি। ওই দিন পর্য্যন্ত সুরক্ষা দেওয়া হোক’। যদিও বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘সংশোধনাগার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা সঠিক পদক্ষেপ। এই অবস্থায় আমার কি করার আছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘রাউজ আভিনিয় কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে। সেটা ভুল ঠিক যাই হোক আপনারা দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আমাকে বলুন সংশোধনাগার কী ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে?’
অনুব্রতর আইনজীবীদের তরফে তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে সোমবার পর্যন্ত সমস্য চাওয়া হয়েছে একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত! ফিসচুলার সমস্যায় হাসপাতালে অনুব্রত
এদিন কেষ্টকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে।গতকাল শুনানিতে অনুব্রত জানান, তাঁর ফিসচুলার সমস্যা বেড়েছে। মাঝেমাঝে রক্তপাতও হচ্ছে। তার পরই শনিবার তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Malda: প্রকাশ্য দিবালোকে নদীর মাটি কেটে পাচার, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মদতের অভিযোগ
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসকে আগেই মেমো দিয়ে দিয়েছে। এখন দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পুরো দায়িত্ব আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের। এদিকে দিল্লি যাত্রা রুখতে মরিয়া অনুব্রত। হাইকোর্টে আবেদন কেষ্টর আইনজীবীর। দিল্লির আদালতে অনুব্রতকে পেশের অনুমতি অনুমতি দিয়েছে আসানসোল কোর্টের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা। যদিও খারিজ হয় সেই মামলা।