নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় বাদ গেল তরুণীর হাত, কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ হাসপাতাল
অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন চ্যানেল করার পরই পচন শুরু হয়। আর তার জেরেই কটে ফেলা হয় তরুণীর হাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউমোনিয়া সারাতে গিয়ে হাত খোয়ালেন তরুণী। সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন চ্যানেল করার পরই পচন শুরু হয়। আর তার জেরেই কটে ফেলা হয় তরুণীর হাত।
আরও পড়ুন: দোলের দিন শান্তিনিকেতনে আর বসন্ত উৎসব নয়! সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের
পরিবার সূত্রে খবর, ৫ জানুয়ারি হঠাৎই নিউমোনিয়া ধরা পরে রেজিনগরের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডলের (১৯)। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে পরের দিনই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, টানা দুদিন কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল সুস্মিতা। এরপর ৮ জানুয়ারি বিকেলে ডান হাতে চ্যানেল করা হয় স্যালাইনের। কিন্তু চ্যানেল করতেই শুরু হয় যন্ত্রনা। বারবার বললেও সিস্টার বা ডাক্তার রা কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি। হাত তখন নীল হয়ে গিয়েছে। যন্ত্রণায় অবশ হতে শুরু করে গোটা শরীর।
অবস্থা বেগতিক দেখে কলকাতায় রেফার করা হয় সুস্মিতাকে। ১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নটা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। এদিন বিকেলে হাতের তালু চিড়ে অস্ত্রোপচার করে রক্ত সঞ্চালনের চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। ১২ জানুয়ারি ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে পচন ধরা ডান হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। ১৭ জানুয়ারি বাড়ির অনুমতি মিলতেই বাদ দেওয়া হয় তরুণীর ডান হাত।
আরও পড়ুন: টোটো চালিয়েই গড়েছেন স্কুলবাড়ি, বস্তির ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শেখাচ্ছেন হাসনাবাদের বিষ্ণুপদ
সুস্মিতর মা বলেন, "যাদের ভুলে আমার ১৯ বছরের মেয়ে ডান হাত হারিয়ে পঙ্গু হয়ে গেল তাদের শাস্তি চাইছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার মেয়েকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করুন।"
আত্মীয় শঙ্কর দাস বলেন, "মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে আমরা রাজ্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন, স্বাস্থ্যভবন ও মেডিক্যাল কাউন্সিল এ অভিযোগ জানাচ্ছি।" পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে সুস্মিতার পরিবার।