দোলের দিন শান্তিনিকেতনে আর বসন্ত উৎসব নয়! সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের
১৮ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত বন্দনা। তারপর দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখে হবে বসন্ত উৎসব।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দোল মানেই শান্তিনিকেতন আর বসন্ত উৎসব! এবার তাতে দাঁড়ি পড়তে চলেছে। দোলের দিন শান্তিনিকেতনে আর বসন্ত উৎসব নয়। দোলের অনেক আগেই এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ক্যালেন্ডারের পাতায় এবছর দোল ১০ মার্চ। কিন্তু সেদিন আর এবার শান্তিনিকেতলে বসন্ত উৎসব হচ্ছে না। তার ২০ দিন আগেই এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত বন্দনা। তারপর দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখে হবে বসন্ত উৎসব। বিশ্বভারতী সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, এই বসন্ত উৎসবের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানই বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে এই অনুষ্ঠান কোথায় হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জানা গিয়েছে, কর্মী পর্ষদকে উৎসব স্থল নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পৌষ মেলা নিয়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ এবার বসন্ত উৎসব নিয়ে কর্তৃপক্ষ তাই কড়া অবস্থান নিচ্ছে।
মিটিংয়ে ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসব এবার নিজেদের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। আর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, অধ্যাপক থেকে সবাই। তবে শান্তিনিকেতনে পর্যটনের উপর এর যে বড় প্রভাব পড়বে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শান্তিনিকেতনের হোটেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন, নষ্ট সিমেন্টের সঙ্গে রাসায়নিক-গঙ্গা মাটি মিশিয়েই চলত বিক্রি, পর্দাফাঁস ভুয়ো কারখানার
আরও পড়ুন, বুলবুলের ক্ষতিপূরণের টাকা চাইতে যান গৃহবধূ! বাংলোয় তুলে নিয়ে গিয়ে 'ধর্ষণ' তৃণমূল কর্মীর
অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য সরকারের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। এই মর্মে উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান। পাশাপাশি, ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসবের গরিমা অক্ষুণ্ণ রাখতে রাজ্য সরকার সবরকমভাবে সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।