Tea Plantation Worker: চা শ্রমিকদের কাজে বড় রদবদল, ডিজিটাইজ হচ্ছে চা কর্মপদ্ধতি
ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের কর্মী দীপ্তিমান ধর জানান, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে একদিকে যেমন কাজে আসা শ্রমিককে সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমশই ডিজিটালাইজ হচ্ছে চা শ্রমিকদের কর্মপদ্ধতি। এর আগে ২০১৭ সালেও এই পদ্ধতি শুরু হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে। সাফল্যও এসেছিল এমন নয়া পথে এগিয়ে।
![Tea Plantation Worker: চা শ্রমিকদের কাজে বড় রদবদল, ডিজিটাইজ হচ্ছে চা কর্মপদ্ধতি Tea Plantation Worker: চা শ্রমিকদের কাজে বড় রদবদল, ডিজিটাইজ হচ্ছে চা কর্মপদ্ধতি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/04/10/415346-tea-plantattio.png)
প্রদ্যুৎ দাস: চা শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমশই ডিজিটালাইজ হচ্ছে চা শ্রমিকদের কর্মপদ্ধতি। এর আগে ২০১৭ সালেও এই পদ্ধতি শুরু হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে। সাফল্যও এসেছিল এমন নয়া পথে এগিয়ে। সেই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এবার ফের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা পরিমাপ করা থেকে শুরু করে সঠিক শ্রমিককে ন্যায্য মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রেও এই ডিজিটাল পদ্ধতির সূচনা করেছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
কিভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি? জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শুরু হয়েছে শ্রমিকদের দৈনিক চিহ্নিতকরণের সঙ্গে সারাদিনে সেই নির্দিষ্ট শ্রমিক কত পরিমাণ কাঁচা চা পাতা গাছ থেকে তুলেছে তার সঠিক পরিমাপ করে লিপিবদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: Ajit Maity: 'অজিত মাইতি রেজিস্টার্ড ডাকাত... বার বার শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন!'
এই প্রসঙ্গে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের কর্মী দীপ্তিমান ধর জানান, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে একদিকে যেমন কাজে আসা শ্রমিককে সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি শ্রমিকেরা পরিশ্রম করে যে পরিমাণ কাঁচা চা পাতা তুলছে তার সঠিক পরিমাপও শ্রমিকের চোখের সামনেই রেকর্ড করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন পদ্ধতিতে সময় কম লাগছে এবং কাজে যোগ দেওয়া কোনও শ্রমিকের নাম ভুলবশত বাদ যাওয়ার সমস্যা থাকছে না ।
আরও পড়ুন: Week 2| Daily Cartoon| সোমান্তরাল| পুরী পে চর্চা
চা প্রস্তুতকারী এই বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা DBITA এর চেয়ারম্যান জীবন চন্দ্র পান্ডে জানান, ‘আমরা ২০১৭ সালেও এই ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারে অন্যদের থেকে এগিয়ে ছিলাম আজও আছি। এখন বিশেষ মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিয়ে কাজে যোগ দেওয়া প্রতিটি চা শ্রমিকের কাজের যেমন মূল্যায়ন দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে, তার সঙ্গে কোনও শ্রমিক যাতে ন্যায্য মজুরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে’।