বাবা-ছেলের সে দৃশ্য চোখের সামনে মেনে নিতে পারেননি প্রতিবেশী, তিনি যা করলেন...
বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলেন শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে মহারাজা কলোনির বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাড়ার কুয়োর পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। আচমকাই পা পিছলে কুয়োর মধ্যে পড়ে যান এক যুবক। ছেলেকে পড়ে যেতে দেখে কুয়োতে ঝাঁপ দেন বাবাও। পরিণতি হয় আরও ভয়ঙ্কর। দুজনেই কুয়োর জলে হাবুডুবু খেতে থাকেন। পরে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে কুয়োতে ঝাঁপ দেন এক প্রতিবেশী। তিনিও আর উঠতে পারেন না কুয়ো থেকে। চোখের সামনে তিন-তিনটি মৃত্যুর সাক্ষী থাকলেন শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে মহারাজা কলোনির বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: জামাইয়ের সঙ্গে ছিলেন শাশুড়ি, বাড়ির গলির মুখেই ভুল করায় ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি!
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান রোডের শপিং মলের পাশে পাড়ারই কুয়োর ধারে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন বিক্রম মাহাতো নামে এক যুবক। আচমকাই পা পিছলে কুয়োর মধ্যে পড়ে যান তিনি। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর বাবা নিরঞ্জন মাহাতো। কোনও কিছু না ভেবেই কুয়োর লাফ দেন তিনি। কিন্তু দুজনেই কুয়ো থেকে উঠতে পারেন না। তাঁদের চিত্কারে ততক্ষণে কুয়োর ধারে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাও। বাবা-ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি কোনওভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না পাড়ার ছেলে হুবিলাল শা। তিনিও ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁদের বাঁচাতে। প্রতিবেশীরাও নানাভাবে সাহায্য করেন তাঁদের। কিন্তু কুয়োর জলের গভীরতা এতটাই বেশি ছিল, তিন জনের কেউই কুয়ো থেকে উঠতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ধাবায় বসে রাতের খাবার খেতে গিয়েই ফাঁস হল আসল কুকীর্তি!
পরে পুলিস গিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠালে, চিকিত্সকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে পাড়ার তিন জনের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। এলাকায় শোকের ছায়া।