পঞ্চায়েতে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী নির্বাচনের অভিযোগ, তৃণমূলে তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল
জেলা বিজেপি নেতা দেবাশীষ দে কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, আসলে রাজগঞ্জে কে কত বড় চোর তার প্রস্তুতি চলছে।
প্রদ্যুত্ দাস: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী নির্বাচনের অভিযোগ! ফের রাজগঞ্জে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। 'চোরদের প্রস্তুতি চলছে', কটাক্ষ বিজেপির। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। আবারও সেই খগেশ্বর বনাম কৃষ্ণ। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নিয়ে সরাসরি গোষ্ঠীকোন্দল।
সোমবার রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের নেতা কর্মীদের নিয়ে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের এসটিওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজগঞ্জ ব্লকের এসটি ওবিসি সেলের সহ সভাপতি জখিরুল হক। আর সেখান থেকেই টাকার বিনিময়ে দলের প্রার্থী নির্বাচন করার অভিযোগ করেন। শুধুমাত্র তিনি নন! সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেক নেতা-কর্মীরাই তার সঙ্গে যে সহমত তা স্লোগানের মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি এও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন যে, দল যদি প্রার্থী না করে তাহলে নির্দল হয়ে ভোটে লড়বেন এবং জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই উপহার দেবেন।
সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, আমরা যেখানে অঞ্চলে বুথ লেভেলে তৃণমূলের ভোটারদের সমর্থিত হয়ে প্রার্থীদের নাম দিয়েছে, সেখানে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের নাম পরিবর্তন করে আলাদা নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা কৃষ্ণ দাসের অনুগামী বলেই তাদের সাথে এমন করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন। এমনকি কৃষ্ণ দাস না থাকলে বিধায়ক খগেশ্বর কখনও ভোটেই জিততে পারেন না বলেও তিনি দাবি করেন। দলকে উচ্চ পর্যায়ে এই বার্তা দেওয়ার জন্যই আজ তাদের এই সাংবাদিক বৈঠক বলে তারা জানান।
এদিকে খগেশ্বর রায়ও কোনো অংশেই কম না। প্রথমত টাকার বিনিময়ে প্রার্থী নির্বাচনের অভিযোগ তো তিনি উড়িয়েই দেন সেই সাথে পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দেন। বলেন, নির্দল হয়ে ভোটে লড়লে পরবর্তীতে তৃণমূলে নেওয়া হবে না। আর প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বুথ স্তরের থেকে প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে, তবে এখনও প্রার্থী নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। জেলা বিজেপি নেতা দেবাশীষ দে কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, আসলে রাজগঞ্জে কে কত বড় চোর তার প্রস্তুতি চলছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। দলের ভাবমূর্তি সঠিক রাখতে যেখানে বারবার গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য দেবাশীষ দে এই ঘটনায় তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন, Malda Blast: এগরা, বজবজের পর মালদহ! ইংরেজবাজারে বাজির গুদামে আগুন, ঝলসে মৃত ২