নিজস্ব প্রতিবেদন : সবং বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ের দোরগোড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪ রাউন্ড গণনার শেষে সাড়ে ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী গীতা ভূঁইঞা। জয় যে একপ্রকার নিশ্চিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু ঘোষণা হওয়াটাই যা বাকি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে সবংয়ের ভূমিপূত্র মানস ভুঁইঞা দল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই চতুর্থ স্থানে নেমে গেল কংগ্রেস। আক্ষরিক অর্থেই কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত ছিল সবং। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও সবংয়ে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের টিকিটে জোটপ্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন মানস ভুঁইঞা। কিন্তু তারপরই দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন মানস। এরপর তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠালে, বিধায়ক পদ থেকে মানস ভুঁইঞাকে ইস্তফা দিতে হয়। ফলে সবং বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদটি খালি হয়ে পড়ে। জরুরি হয়ে পড়ে উপনির্বাচন।


মানস ভুঁইঞা সাংসদ হয়ে গেলেও, সবং উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রের উপরই আস্থা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় মানস জায়া গীতা ভুঁইঞাকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দল পরিবর্তন করলেও, সবংয়ের মানুষের যে ভুঁইঞা পরিবারের উপর আস্থা অটুট, উপনির্বাচনের ফলাফলে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনে মানস ভুঁইঞার মার্জিনের থেকেও বেশি মার্জিনে এবার জিততে চলেছেন গীতারানি ভূঁইঞা। জয় নিশ্চিত হতেই সবংয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।


আরও পড়ুন, আম্মার আর কে নগরে চাপে এআইএডিএমকে, উপনির্বাচনে এগিয়ে নির্দল দীনাকরণ


অন্যদিকে, সবংয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএমের রীতা মণ্ডল জানা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল অন্তরা ভট্টাচার্যকে। চতুর্থ স্থানে কংগ্রেস চিরঞ্জীব ভৌমিক। এদিকে আজও সবং উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় বলে দাবি করেছেন সাংসদ মানস ভুঁইঞা।