১০ মিনিটের অপারেশন, পার্টি অফিসেই খুন দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা
কেতুগ্রামের পর এবার বগুলা। ফের খুন তৃণমূল নেতা। ভরসন্ধেয় পার্টি অফিসের ভিতর ঢুকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাসকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। ১০ মিনিটে নিখুঁত অপারেশন সেরে ভরা বাজার দিয়ে হেঁটেই ফিরে যায় তারা।
ওয়েব ডেস্ক: কেতুগ্রামের পর এবার বগুলা। ফের খুন তৃণমূল নেতা। ভরসন্ধেয় পার্টি অফিসের ভিতর ঢুকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাসকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। ১০ মিনিটে নিখুঁত অপারেশন সেরে ভরা বাজার দিয়ে হেঁটেই ফিরে যায় তারা।
একসময়ের বাম কর্মী। বর্তমানে তৃণমূলের দাপটে নেতা। ২০১৪ থেকে হাঁসখালি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। এলাকায় দলের সংগঠনের মূল ভিত্তি। দুলাল বিশ্বাস। নিজের পার্টি অফিসের মধ্যেই খুন হয়ে গেলেন দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।
ঘড়িতে সওয়া আটটা। রবিবারের জমজমাট বগুলা বাজার। পার্টি অফিসে ব্যস্ত ছিলেন দুলাল বিশ্বাস। আশেপাশে ২০-২৫জন অনুগামী। হঠাত্ই গুলির শব্দ। কালো চাদর জড়িয়ে পার্টি অফিসে চড়াও ১০-১২জন দুষ্কৃতী। বেশিরভাগের হাতেই ছিল দোনলা বন্দুক-দেশি পিস্তল-চপার। বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পর ৩ জন ঢুকে পড়ে পার্টি অফিসের ভিতরে।
দ্বিতীয়বার আর নিশানা ভুল করেনি দুষ্কৃতীরা। পয়েন্ট ব্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ঝাঁঝরা করে দেয় দুলাল বিশ্বাসকে।সেসময় পার্টি অফিসের মধ্যেই ছিলেন শ্রীবাস বৈরাগি। একজনকে ধরেও ফেলেন তিনি। খুনের সময় আগাগোড়া বাবার সঙ্গে ছিলেন ছেলে দীপঙ্কর। ধস্তাধস্তির সময় ১০-১২জন দুষ্কৃতীকে চিনেও ফেলেন তিনি।
মাত্র ১০ মিনিট। তারমধ্যেই অপারেশন শেষ কর ধীরে সুস্থে বেরিয়ে যায় পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বগুলা বাজার লাগোয়া রাস্তা থেকে সকালে উদ্ধার হয় কার্তুজের খোল। ঘটনাস্থলেই সম্ভবত মারা যান দুলালবাবু। বগুলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ময়না তদন্তের পর দুপুরে তাঁর দেহ বাড়িতে আনা হয়।