Birbhum: অনুব্রত-হীন বোলপুরে ১২ বছর পর সভা সিপিএমের, দল ছাড়লেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী
Birbhum: এতদিন বোলপুরের মহিদাপুর গ্রাম ছিল তৃণমূলের দখলে। ভোটেও জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুসিত। জানা যাচ্ছে ২০১১ সালে শেষবার মাহিদাপুরে গ্রামে সভা করেছিল বামেরা। তার পর থেকে গ্রামের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত জেলে জেতেই তাঁর গড়েই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন তাঁর দলের নেতারা। বোলপুরের মাহিদাপুরের সভা করল সিপিএম-কংগ্রেস জোট। সেই সভায় জোটে জোগদান করলেন এলাকার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী। টানা ১২ বছর পর বোলপুরের এরকম সভা করতে পারল সিপিএম-কংগ্রেস জোট।
আরও পড়ুন- ভরসন্ধেয় জাতীয় সড়কে গাড়িকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি দুষ্কৃতীদের, ঘটনাস্থলেই নিহত ব্যবসায়ী
এতদিন বোলপুরের মহিদাপুর গ্রাম ছিল তৃণমূলের দখলে। ভোটেও জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুসিত। জানা যাচ্ছে ২০১১ সালে শেষবার মাহিদাপুরে গ্রামে সভা করেছিল বামেরা। তার পর থেকে গ্রামের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে গ্রামে আর প্রকাশ্যে সভা করতে পারেনি সিপিএম বা কংগ্রেস। আজ শুধু সভাই নয়, এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল নেতা বাম-কংগ্রেস জোটে জোগদানও করেন।
মহিদাপুরের তৃণমূলের বুথ সভাপতি জানারুল মল্লিক, সেখ সাহাজুল এছাড়া তৃণমূল কর্মী আল্লাল মোল্লা, সেখ সৌরহাব, নূরউদ্দিন মোল্লা-সহ অনেকেই আজ বাম কংগ্রেস জোটে যোগাদান করেন। বাম কংগ্রেস এর দাবি, প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ আজ এই বাম জোটে যোগদান করেছেন।
বামফ্রন্ট এর নেতাদের দাবি, তৃণমূলের কাজই হল গণতান্ত্রকে স্তব্ধ করা। সেই কাজই তারা এই গ্রামে করেছিল। সেই কারণেই আমরা এখানে সভা করতে পারিনি। এতদিন পরে মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। তাই আমরা আবার এখানে সভা করতে পারছি।। আর মানুষ কতটা বিরক্ত সেটা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেই তৃণমূল বুঝতে পারবে।