Bardhaman Shoot out: ভরসন্ধেয় জাতীয় সড়কে গাড়িকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি দুষ্কৃতীদের, ঘটনাস্থলেই নিহত ব্যবসায়ী
Bardhaman Shoot out:শনিবার সন্ধে পৌন আটটা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপরে আমড়া মোড়ের কাছে একটি ফরচুনা গাড়ি তার গতি কিছুটা কম করে দেয়। সেই সময় পেছন থেকে একটি নীল রঙের গাড়িতে কয়েকজন এসে ওই সাদা ফরচুনা গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপরই একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চালকের ডান দিক লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা
অরূপ লাহা ও চিত্তরঞ্জন দাস: বর্ধমানে জাতীয় সড়কের উপরে শ্যুট আউট। গুলিতে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। আহত অন্য একজন। শনিবার ঘটনা ঘটেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে শক্তিগড়ের আমড়া মোড়ে। গাড়িতে এসে অন্য একটি গাড়িতে থাকা আরোহীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন-নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকব না, হাওড়ার ঘটনা নিয়ে সরব রাজ্যপাল
শনিবার সন্ধে পৌন আটটা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপরে আমড়া মোড়ের কাছে একটি ফরচুনা গাড়ি তার গতি কিছুটা কম করে দেয়। সেই সময় পেছন থেকে একটি নীল রঙের গাড়িতে কয়েকজন এসে ওই সাদা ফরচুনা গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপরই একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চালকের ডান দিক লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের দাবি, কমপক্ষে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সেই গুলিতেই রাজু ঝা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুরে। রাজুর পেছনে বসে থাকা এক ব্যক্তি গুলিতে গুরুতর জখম হন।
ঘটনার খবর পয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বর্ধমান থানার পুলিস। রাজু ঝা ও তার সঙ্গীকে বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজু ঝা-র। তার সঙ্গীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা যাচ্ছে নিহত রাজু ঝার কয়লার ব্যবসা ছিল। দুর্গাপুরের প্রভাশালী ব্যবসায়ী বলেই রাজুর পরিচিতি রয়েছে। বাম আমল থেকেই কয়লা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাজু। ২০১১ সালের পর তাক ব্যবসায় ভাটা আসে। ২০১৯ সালের পর তার কয়লা ব্যবসা প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। সেইসময় তিনি তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর নামে একাধিক মামলা হয়। পশ্চম বর্ধমানের বেশ কয়েকটি থানায় তার নামে অভিযোগ ছিল। বর্তমানে দুর্গাপুরে থাকতেন তিনি। সেখানে তাঁর একটি হোটেলও রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তাকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে জেলার নামী কয়লা ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। রাজুর বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা তুলে বিক্রি করার অভিযোগ ছিল। মাসখানেক আগে দুর্গাপুরের একটি জায়গায় গুলি চলে। সেখানে ছিলেন রাজু ঝা। সেই যাত্রায় কোনও ক্ষতি হয়নি রাজুর।