Chopra: পুলিস না শোধরালে বেঁধে রেখে সবক শেখাব, প্রকাশ্য জনসভায় নিদান তৃণমূল বিধায়কের
চোপড়া বিধানসভার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রকালী বাজার এলাকায় আজ এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমুল বিধায়ক
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য জনসভায় ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিস আধিকারিককে বেঁধে রেখে শোধরানোর নিদান দিলেন চোপড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। শুধু জনসভার বক্তব্যতেই নয়, সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ক্যামেরার সামনে বারংবার পুলিস আধিকারিক পিন্টু বর্মনকে ঈদের পরে বেঁধে রেখে শোধরাবেন বলে জানালেন হামিদুল। পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালাকেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন বিধায়ক। হামিদুলের অভিযোগ, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল কানে তেল দিয়ে রাখেন। তিনি কিছুই শোনেন না।
চোপড়া বিধানসভার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রকালী বাজার এলাকায় আজ এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমুল বিধায়ক। পুলিস আধিকারিককে তাঁর শিক্ষা দেওয়ার নিদানে হাততালিতে ভরে ওঠে সভাস্থল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পুলিসের সঙ্গী হিসাবে দেগে দেন।
এনিয়ে গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাম্মদ রাইসুদ্দীনের পাল্টা অভিযোগ, চোপড়া থানা এলাকায় বিধায়ক নিজের অঙ্গুলিহেলনে সব কাজ করে থাকেন। কিন্তু হামিদুলবাবু তার বিধানসভা এলাকা ইসলামপুর থানার গোবিন্দপুরে তেমন কিছু করতে পারছেন না। তাই বহিরাগতদের এনে সভা করে এভাবে কথা বলছেন। পুলিস এতদিন বিধায়কের চামচাগিরি করে এসেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করেনি। তাই পুলিসকে এইসব কথা শুনতে হল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হামিদুর রহমান আজ পুলিসের বিরুদ্ধে যা বলেছেন তা মূলে রয়েছে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ। ওই বিবাদের একদিকে রয়েছে হামিদুল রহমানের গোষ্ঠী আর অন্য দিকে কানইয়ালালের গোষ্ঠী। পুলিস হামিদুলের পক্ষে কাছ করছে না বলেই ক্ষোভ। সেই জায়গা থেকেই হুমকি, পুলিস না শোধরালে ফাঁড়িতে তাদের বেঁধে রাখব।
আরও পড়ুন-তপন কান্দু খুনে FIR দায়ের CBI-র, বনধে সুনসান ঝালদা