Hooghly: প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌনপল্লীতে নারী পাচার! যেন ওয়েব সিরিজের প্লট...
Woman Trafficking: গত ৯ জুলাই তারকেশ্বর এলাকা থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। গত ১৩ জুলাই তারকেশ্বর থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এর পরই তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করে গত ১৯ জুলাই।
বিধান সরকার: প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার! যৌন পল্লীতে বিক্রি! বাংলা ওয়েব সিরিজ আবার প্রলয়ের প্লট। পাচার হওয়া তারকেশ্বরের নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে, পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল হুগলি গ্রামীন পুলিস। গ্রেফতার দুই এজেন্ট-সহ চক্রের এক মূল পান্ডা। সাংবাদিক বৈঠক করে জানলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার কামনাশীষ সেন। ধৃতরা হল মিজানুর মণ্ডল, শ্রীরাম রায়, নন্দ কিশোর কুমার। মিজানুর মন্ডলের বাড়ি, উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগর, শ্রীরাম রায়ের বাড়ি কলকাতার তারতলা এবং নন্দ কিশোর কুমারের বাড়ি বিহারের চম্পারণে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জুলাই তারকেশ্বর এলাকা থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। গত ১৩ জুলাই তারকেশ্বর থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এর পরই তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করে গত ১৯ জুলাই।
নাবলিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে তার সমাজ মাধ্যমে পরিচয় রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে। এর পরই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারকেশ্বর থেকে বিহারে নিয়ে যায় রাহুল। পরে জানা যায়, রাহুলের আসল নাম মিনাজুর মণ্ডল। লোকেশন ট্র্যাক করে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিস। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনার সঙ্গে নারী পাচার চক্রের যোগ পায় পুলিস। তদন্তের গতি বাড়িয়ে অবশেষে নারী পাচার চক্রের একের পর এক সূত্র খুঁজে পায় পুলিস। শুধু মাত্র প্রেমের ফাঁদ নয় কাজের টোপ দিয়ে মহিলা ও নাবালিকাদের এরাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যের যৌনপল্লীতে পাচার করা হত।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদ ও কাজের টোপ দিত মিজানুর মণ্ডল ওরফে রাহুল ও শ্রীরাম রায়। এর পর তাদের ফাঁদে ফেলে নন্দ কিশোর কুমারের হাতে তুলে দেওয়া হতো নাবালিকা ও মহিলাদের। সূত্র হাতে আসতেই ফাঁদ পাতে তারকেশ্বর থানা ও হুগলি গ্রামীন পুলিস। গত ২৫ শে অক্টোবর মিজানুর মণ্ডল ও শ্রীরাম রায় কে গ্রেফতার করে পুলিস পরে দিন ২৬ অক্টোবর নন্দ কিশোর কুমারকে নদীয়া জেলার বাংলাদেশ বর্ডার লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ ধৃত তিন জনকে সাত দিনের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে চন্দন নগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান হুগলি গ্রামীন পুলিস সুপার। এই চক্রে আরও কারা জরিত তার খোঁজ চালনো হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)