চম্পক দত্ত: প্রশাসনিক কাজের মাঝে কখনও স্কুল ছাত্র, কখনও আবার স্কুলের শিক্ষক এমনই ভূমিকায় দুই আধিকারিক। একজন ব্লকের বিডিও আর একজন এসআই। এই ছবি আজকের নয়। এই ছবি প্রায়ই দেখা যায় এমনই জানাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকেরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে স্কুলের মিড ডে মিল খতিয়ে দেখতে তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাচ্ছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (DI) থেকে শুরু করে ব্লক স্কুল পরিদর্শক (SI), এমনকি ব্লক প্রশাসনের আধিকারীকরাও। স্কুলের পরিকাঠামো দেখছেন, মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়গুলি নজর রাখছেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলির চিত্র একেবারেই অন্য ধরনের।
কারণ এখানে স্কুলগুলির পরিদর্শনের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী থেকে ব্লকের এসআই কৌশিক ঘোষকে। তারা স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের রিডিং পড়াচ্ছেন পাশাপাশি অঙ্কও। এমনকি মিড ডে মিলে কী খাওয়ানো হয়েছে সেই বিষয়গুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো থেকে শিক্ষকদের থেকে স্কুলের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি দুপুরে পড়ুয়াদের সঙ্গে মেঝেতে বসে মিড ডে মিলের খাবারের স্বাদও নেন দুজনেই।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh Warns Hiran: 'বিজেপিতে থাকতে গেলে...', তারকা বিধায়ক হিরণকে কড়া বার্তা দিলীপের!
এক কথায় রথ দেখা কলা বেচা সমস্ত কিছুই করছেন বিডিও থেকে এসআই। যদিও এই বিষয়ে ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘বাচ্চারা স্কুলে এসে কতটা ডেভেলপমেন্ট করছে সেই বিষয়টি আমরা দেখছি। বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে করোনার জেরে রিডিং পড়া ভুলেছে ছাত্রছাত্রীরা সেই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি’।
আরও পড়ুন: Bhangar: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে বোমাবৃষ্টির ঘটনা
অপরদিকে স্কুল পরিদর্শক কৌশিক ঘোষের কথাতেই বোঝা যায়, রিডিং পড়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের একটু ঘাটতি থাকছে তাই স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকঠাক তালিম দিচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাচ্চাদের সঙ্গে একটু সময় কাটানো। প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে তাদের শিক্ষার হালহকিকত জানার পাশাপাশি নিজেরাও যেন কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে পান এমনও অনুভূতির কথা জানাচ্ছেন বিডিও, এসআই দুজনেই। আর ব্লকের দুই প্রশাসনিক আধিকারিকের এহেন ভূমিকায় অনুপ্রেরণা জোগায় তাদেরও জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষকরাও।
প্রশাসনিক কাজের ফাঁকেই পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দুই আধিকারিক, আপ্লুত শিক্ষকরা