'গ্রাম থেকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙে দেব', ভোটের প্রচারে ফের স্বমেজাজে Susanta Ghosh

সিপিএম নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে।

Updated By: Mar 4, 2021, 11:09 PM IST
'গ্রাম থেকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙে দেব', ভোটের প্রচারে ফের স্বমেজাজে Susanta Ghosh

নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটের (WB Assembly Election 2021) আগে ফের স্বমেজাজে সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। শালবনিতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন, 'যাঁর ক্ষমতা হবে গায়ে হাতে দেওয়ার, সোজা গ্রাম থেকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙে আমিই চিকিৎসা করাব'।  সিপিএম নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে।

বাম আমলে প্রবাদ ছিল, তাঁর দাপটে গড়বেতা-শালবনী এলাকায় নাকি বাঘে-গরুতেও এক ঘাটে জল খায়! রাজ্য পালাবদলের পর দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কাণ্ডে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয় সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে (Susanta Ghosh)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ডিসেম্বর কার্যত নায়কের মতো নিজের এলাকায় ফিরেছেন তিনি। একুশের ভোটে কংগ্রেস ও ISF-র জোট করে ফের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছে বামেরা। বস্তুত, সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকায় 'তরুণদের ভিড়ে'-ও ব্রাত্য নন সুশান্ত ঘোষের মতো 'মাস' নেতা। শোনা যাচ্ছে, নিজের গড় শালবনীতে জোটের প্রার্থী হতে পারেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও, গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।

আরও পড়ুন: দলীয় সভায় সরকারি 'সুকন্যা' প্রকল্পের প্রচার, 'নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি', দাবি Arup-এর

এদিন একদা মাও অধ্যুষিত শালবনীর কুশতোড়া ভালুকশোল গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই ধরা দিলেন পুরনো মেজাজে। হুঙ্কার দিলেন, 'মাওবাদীরাও জানে, তৃণমূলের বাপ-ঠার্কুদা জানে, বিজেপির বাপ-ঠার্কুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে! যা বলে তাই করে। এতদিন ছিলাম না, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। এরপর যদি কারও গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা হয়, সোজা গাঁ-এ যাব, যার ক্ষমতা হবে, তাঁকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙে আমিই চিকিৎসা করাব'। 

আরও পড়ুন: ভোটমুখী বাংলায় মারুতি ভ্যানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, আটক ৯

এদিকে ভোটের মুখে চেষ্টা করেও গড়াবেতায় দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ পার্টি অফিসটি খুলে পারল না সিপিএম। অভিযোগ, পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েই পার্টি অফিস খুলতে গিয়েছিলেন দলের কর্মীরা। কিন্তু রাতভর ফোন হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। বামেদের দাবি, এদিন সকালে যখন ফের পার্টি অফিসের সামনে হাজির হন সিপিএম কর্মীরা, তখন সেখানে কোনও পুলিসকর্মী ছিলেন না। ফলে ভয়ে আর পার্টি অফিস খোলার সাহস দেখাননি কেউই।

.