Akhil Giri Resigns: ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই, ইস্তফা দিচ্ছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি

Akhil Giri Resigns: কারামন্ত্রীর ইস্তফার জল্পনা নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গতকাল ওই আধিকারিককে যখন উনি কদর্যভাবে আক্রমণ করছেন তখন উনি বলেছেন আপনারা যে দুর্নীতি করেছেন তা ফাঁস করে দেব। সেই দুর্নীতিগুলোই এখন যেন সামনে আসে।

Updated By: Aug 4, 2024, 04:03 PM IST
Akhil Giri Resigns: ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই, ইস্তফা দিচ্ছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফরেস্ট রেঞ্জারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পর কড়া অবস্থান নিয়ে ছিল দল। দলের তরফে সুব্রত বক্সি ফোন করে অখিল গিরিকে ওই মহিলা বন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। পাশাপাশি তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন। যদিও ওই কথা স্বীকার করেননি অখিল গিরি। তবে শোনা যাচ্ছে দলের নির্দেশ মেনে কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন অখিল গিরি। আাগামিকাল সম্ভবত তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে দেবেন।

আরও পড়ুন-অখিল গিরির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল তৃণমূল, মন্ত্রিত্ব ছাড়তে নির্দেশ দলের

সুব্রত বক্সির মন্তব্য নিয়ে অখিল গিরি বলেন, পদত্যাগদ করে দিয়েই সাধারণ মানুষের পাশে থাকব। মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করব কিন্তু রামনগরের বিধায়ক তো থাকবে। আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইনি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

কারামন্ত্রীর ইস্তফার জল্পনা নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গতকাল ওই আধিকারিককে যখন উনি কদর্যভাবে আক্রমণ করছেন তখন উনি বলেছেন আপনারা যে দুর্নীতি করেছেন তা ফাঁস করে দেব। সেই দুর্নীতিগুলোই এখন যেন সামনে আসে।

এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, অখিল গিরিকে সরিয়ে দেওয়া হবে এটা সবাই জানতেন। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের একটা মনভাব তৈরি ছিল। অখিলকে বরখাস্ত না করে তাকে পদত্যাগ করার সুযোগ দেওয়ার অর্থ দল তাঁর পাশেই আছে।

সূত্রের খবর অখিল গিরির আচরণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই অখিল গিরিকে ফোন করেন সুব্রত বক্সি। জানা যাচ্ছে সুব্রিত বক্সি দুটো নির্দেশ দিয়েছেন, একটি হল ওই মহিলা অফিসারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অখিল গিরিকে। দ্বিতীয়ত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

কী হয়েছিস আসলে? গোটা ঘটনা নিয়ে আজ অখিল গিরি বলেন, বন দফতরের কর্মীরা রাত এগারোটার পর ২৫টি দোকানের উপরে হামলা চালায়। পাশাপাশি শনিবার কন্টাইয়ের রেঞ্জার গ্রামবাসীকে গুন্ডা বললেন আমাদের সামনে। তখন তারা উত্তপ্ত হয়ে বললেন, আমাদের পয়সায় আপনি বেতন পান, এভাবে বলতে পারেন না। আপনি বন দফতরের অনেক জিনিস চুরি করেন, আমরা তা জানি। আমি বলেছিলাম রাতের বেলায় কেন আপনি দোকান কাটলেন, দিনের বেলা কাটতে পারতেন। এনিয়ে আমি আলোচনায় ডাকি, কিন্তু উনি বলেন তিনি মন্ত্রীর কাছে যাবেন না মন্ত্রীকে তাঁর কাছে যেতে হবে। এনিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমার সঙ্গে ডিএফওর কথা হয়। ওইসময় উত্তেজিত হয়ে একটা কটুকথা বলেছি। ওই কথা বলা উচিত হয়নি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.