কাউন্টিংহলে এসডিপিওকে দেখেই পা জড়িয়ে ধরল ‘সে’, মিলল স্নেহের পরশ
অবশেষ তাকে বাগে আনতে ময়দানে নামলেন খোদ মহকুমা পুলিস আধিকারিক। কলা হাতে বাইকের ওপর বসে রইলেন নিজে। সেই কলার লোভেই ধরা দিল পবনপুত্র। বাইকের কাছে আসতেই নেমে দাঁড়ান এসডিপিও। তাঁর পা জড়িয়ে ধরে হনুমানটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। রয়েছে কড়া পুলিসি নিরাপত্তা। গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করছেন কর্মীরা। কিন্তু একজনকে দেখেই নিমেশে বদলে গেল মালবাজার সুভাষিণী গার্লস স্কুলের কাউন্টিং হল। আচমকাই হুড়োহুড়ি, নিজেকে লুকানোর আপ্রাণ প্রয়াস। ততক্ষণে কাউন্টিং হলের বাঁশের ডগায় উঠে বসে রয়েছে সে।
প্রথমে বুঝিয়ে সুজিয়ে, খাবারের লোভ দেখিয়ে নামানোর চেষ্টা চলল। তবুও নাছোড় পবনপুত্রকে ভোলানো গেল না কিছুতেই। ইতিউতি বিচরণ করতে থাকল।
অবশেষ তাকে বাগে আনতে ময়দানে নামলেন খোদ মহকুমা পুলিস আধিকারিক। কলা হাতে বাইকের ওপর বসে রইলেন নিজে। সেই কলার লোভেই ধরা দিল পবনপুত্র। বাইকের কাছে আসতেই নেমে দাঁড়ান এসডিপিও। তাঁর পা জড়িয়ে ধরে হনুমানটি। এরপরের দৃশ্য চোখে লেগে থাকার মতো। পোষ্যস্নেহে হনুমানকে কলা খাওয়াতে দেখা গেল মহকুমা পুলিস আধিকারিককেই।
গণনা ঘিরে চাপা উত্তেজনা ছিলই সকলের মধ্যে। কিন্তু কোথাও যেন কিছুক্ষণের জন্য মালবাজার সুভাষিণী গার্লস স্কুলের কাউন্টিং হলের মনোরঞ্জনের কারণ হয়ে উঠল পবনপুত্র।