Panchayat Violence: ভোটের পর অশান্ত ক্যানিং, তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন! অভিযোগ ISF-এর বিরুদ্ধে
ভোটের পর অশান্তিতে ফের খুন। তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর।
প্রসেনজিৎ সর্দার: ভোট পরবর্তী অশান্তিতে ফের খুন। এবার ক্যানিংয়ে তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্ব। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংযে তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিজয় মিছিলে হামলা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, Bhangar Panchayat Violence: ভোটের আগের দিন বেদম মার, মৃত্যু হল ভাঙড়ের আহত তৃণমূল কর্মীর
সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে এক তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা কলকাতা হাসপাতালের রেফার করে। শনিবার সকালে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতে যাওয়ার পর থেকেই ক্যানিং উত্তপ্ত । এমনকী এই প্রথমবার ক্যানিং বিধানসভায় ভোটও হয়নি। তাই তৃণমূল জিতে যাওয়ায় শুক্রবার এলাকায় চলে বিজয় উৎসব।
কিন্তু রাতে এলাকায় বোমা মারার ঘটনা ঘটায় আই এস এফ. এমনটাই অভিযোগ শাসক দলের। এরপর সেই এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী প্রতিবাদ করতে যায়।তারপরেই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের লক্ষ্য করে তেড়ে যায়। এরপর পালাতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মী নান্টু গাজী পড়ে যায়। তখনই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে সাতমুখি গাজীপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গভীর রাতে। ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কিছুতেই সন্ত্রাসে লাগাম টানা যাচ্ছে না। নির্বাচন পর্ব মিটেছে, শেষ ভোট গণনাও। গ্রাম বাংলার রাজনীতিতে আবারও নেতৃত্বে তৃণমূল। এবার যদিও বিরোধীরাও বেশ কিছু জায়গায় সাফল্যের মুখ দেখেছে। তবে ভোট-সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ, নির্দল কর্মীরা।