পঞ্চায়েত মামলায় 'হার স্বীকার' করেও 'জয়ের দাবি' কল্যাণের

একমাত্র একটি ক্ষেত্রেই তাদের 'হার' হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি সবক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি কোনও মান্যতা পায়নি বলে দাবি তাঁর।

Updated By: Apr 20, 2018, 06:33 PM IST
পঞ্চায়েত মামলায় 'হার স্বীকার' করেও 'জয়ের দাবি' কল্যাণের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিরোধীদের অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ব ঘোষিত নির্ঘণ্ট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কমিশনের ১০ এপ্রিলের নির্দেশকে 'বেআইনি' বলে খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার নির্দেশ জানিয়েছেন, মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ঘোষণা করতে হবে পঞ্চায়েত ভোটের নতুন নির্ঘণ্ট। 'হার স্বীকার' করে নিয়েও এই রায়কে নিজেদের 'জয়' হিসেবেই দেখছেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

রায়ের পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুন করে শুরুর দাবি জানিয়েছিল। আদালতের রায়ে বিরোধীদের সেই দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে। ইমেল মারফত মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু আদালত বিরোধীদের সেই দাবি মেনে নেয়নি। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ভোটে আধাসেনা মোতায়েনের দাবি করেছিল বিরোধীরা। একইসঙ্গে বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরিয়ে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল তারা। কিন্তু আদালতে বিরোধীদের সেই দাবিও খারিজ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন, BIG BREAKING : বিরোধীদের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট খারিজ করল আদালত

একমাত্র একটি ক্ষেত্রেই তাদের 'হার' হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল রাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েও পরদিন সকালে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরেধীদের অভিযোগ, শাসকদলের চাপেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কমিশন। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি ছিল, বিরোধীদের হিংসার অভিযোগ মিথ্যা। এর কোনও সত্যতা নেই। ফলে মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়ানো অযৌক্তিক। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। সওয়াল-জবাবের পর বিরোধীদের দাবিকেই এদিন স্বীকৃতি দেন বিচারপতি। মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়াতে নির্দেশ দেন কমিশনকে। শুধুমাত্র এই একটি 'পয়েন্ট'-এই তারা 'হেরে গিয়েছেন' বলে উল্লেখ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। এই রায় সাধারণ মানুষের জয়, গণতন্ত্রের জয় বলে উল্লেখ করেন বিজেপির তরফে মামলাকারী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, এই রায়ে বিরোধীদের ক্ষোভকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই রায়ে কমিশনের পঙ্গুত্ব প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে, এদিন রায় ঘোষণার পরই আদালত চত্বরে হাতাহাতি জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলপন্থী আইনজীবী ও বিরোধী আইনজীবী শিবিরের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধীর চৌধুরী। শুনে নিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য-

.