পাহাড়ে কী চায় বিজেপি? এখনও স্পষ্ট নয়
পাহাড়ে কী চায় বিজেপি? চরম বিভ্রান্তি। কেন্দ্রের নেতারা একরকম বলছেন। রাজ্যের নেতাদের আবার অন্যসুর। পাহাড়ের পদ্ম নেতার সুর আবার কারও সঙ্গেই মিলছে না। ধোঁয়াশা তাই কাটছে না।
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে কী চায় বিজেপি? চরম বিভ্রান্তি। কেন্দ্রের নেতারা একরকম বলছেন। রাজ্যের নেতাদের আবার অন্যসুর। পাহাড়ের পদ্ম নেতার সুর আবার কারও সঙ্গেই মিলছে না। ধোঁয়াশা তাই কাটছে না।
পাহাড়ে উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি। অশান্তি শুরুর প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবারও কেন্দ্রের কাছে মোর্চাকে মদত না যোগানোরই অনুরোধ করলেন তিনি।
দার্জিলিং নিয়ে বিজেপির অবস্থান অবশ্য গোড়া থেকেই রহস্যে মোড়া।
২০০৯ সালে মোর্চার সমর্থনে দার্জিলিং থেকে সাংসদ হন যশবন্ত সিং
২০১৩ সালে অশান্ত পাহাড়ে যশবন্তের দেখা মেলেনি, মোর্চাই মিসিং ডায়েরি করে
২০১৪ সালে ফের জোট হলেও বিজেপির ইশতাহারে গোর্খাল্যান্ডের উল্লেখ ছিল না
মোর্চার দাবিতে পরে সাপ্লিমেন্টারি ইশতাহারে গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিচার করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। সাংসদ হন সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। এবারও তাঁর মধ্যস্থতাতেই রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেছেন মোর্চা নেতারা। কিন্তু, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানাচ্ছেন, আপাতত কোনও অবস্থানই নেয়নি দল।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও অবস্থান নেয়নি। কিন্তু, রাজ্যের নেতা শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে রাখলেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই রকম অবস্থান! রেজিমেন্টেড পার্টি বিজেপিতে কি কমিউনিকেশন গ্যাপ দেখা দিচ্ছে? অসম্ভব নয়। না হলে কার্শিয়াংয়ে মোর্চার মিছিলে কেন পা মেলাবেন বিজেপির হিল সেক্রেটারি?
পাহাড়ের এই দাবি মানলে সমতলে জোর ধাক্কা খাবে বিজেপির স্বপ্ন। তা বিলক্ষণ জানেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। দিনের শেষে অবশ্য সেই ধোঁয়াশাই থেকে গেল। পাহাড়ে কী চায় বিজেপি? এখনও স্পষ্ট নয়।