Cattle Smuggling Case: অনুব্রতর দেহরক্ষী কে এই সায়গল হোসেন? কীভাবে তাঁর উত্থান?
বর্তমানে অনুব্রত মন্ডলের প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক সমস্ত কাজের তদারকি করতেন সায়গল হোসেন। তাঁর ফোন দ্বারাই পরিচালিত হত সবটা।
![Cattle Smuggling Case: অনুব্রতর দেহরক্ষী কে এই সায়গল হোসেন? কীভাবে তাঁর উত্থান? Cattle Smuggling Case: অনুব্রতর দেহরক্ষী কে এই সায়গল হোসেন? কীভাবে তাঁর উত্থান?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/10/378360-capture.jpg)
প্রসেনজিৎ মালাকার: কে এই সায়গল হোসেন (Saigal Hussain)? অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহল থেকে গোটা বীরভূম (Birbhum) জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে তোলপাড়। তদন্তে উঠে এসেছে, অনুব্রতর দেহরক্ষী এই সায়গল হোসেনের অগাধ বিপুল সম্পত্তির কথা। যার পরিচারিকার নামেও কলকাতায় রয়েছে ফ্ল্যাট! কিন্তু কীভাবে তাঁর এই উত্থান? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সায়গল হোসেন। তাঁর বাবার মৃত্যুতেই তিনি এই চাকরি পান। এরপর কিছুদিন মুর্শিদাবাদে সুতিতে কর্মরত ছিলেন সায়গল হোসেন। তারপরই অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। সেই থেকে এখনও অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী আছেন তিনি। তবে প্রথম থেকেই সায়গল হোসেনের এত প্রতিপত্তি বা তাঁর উত্থান লক্ষ্য করা যায়নি। এমনটাই মত অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। তবে ছবিটা বদলাতে শুরু করে ২০১৬ থেকে। তখন থেকেই কার্যত অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বত্র দেখা যেতে থাকে সায়গল হোসেনকে। আর তারপরই তাঁর এই উত্থান।
বর্তমানে অনুব্রত মন্ডলের প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক সমস্ত কাজের তদারকি করতেন সায়গল হোসেন। তাঁর ফোন দ্বারাই পরিচালিত হত সবটা। বিরোধীদেরও অভিযোগ, বীরভূমের সব কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেন সায়গল হোসেন। এখন, সায়গল হোসেনেরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আছেন। যাঁদের উপরেও সিবিআই-এর নজর রয়েছে বলে সূত্রে খবর। স্বাভাবিকভাবেই সায়গল হোসেনের গ্রেফতারি বীরভূম জেলার ব্যবসায়িক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।