করোনার উপসর্গ নিয়েই চলছিল চেম্বার, রিপোর্ট পজেটিভ পেয়েই বাড়ি ছেড়ে পালল ডাক্তার
এই ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিতসক মৃণালকান্তি সাহা। রবিবার রাতে তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সে সিউড়ির বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিকিতসক যদি অবিবেচকের মত কাজ করে তাহলে সেটা হয়ে ওঠে আরও ভয়ঙ্কর। যেটা ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারে। এই ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিতসক মৃণালকান্তি সাহা। রবিবার রাতে তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সে সিউড়ির বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর সোমবার দুপুরে সিউড়ি থানার পুলিস সূত্র মারফত খবর পেয়ে ডাক্তার মৃণালকান্তিকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে বোলপুরে গ্লোকাল করোনা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।পালিয়ে যাওয়ার পর কোথায় ছিল সেই ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে পুলিস। কয়েকদিন ধরে ডাক্তারবাবুর শরীর ভাল ছিল না। জ্বরের পাশাপাশি তাঁর শরীরে ছিল করোনার উপসর্গ।
এই নিয়েই গত তিনদিন ধরে মহম্মদবাজার ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট চেম্বার করেন। করোনার উপসর্গে শরীর ক্রমশ খারাপ হওয়াতে তিনি করোনা পরীক্ষা করান। করোনা পরীক্ষা করার পরও অবিবেচকের মত ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারেও রোগী দেখেছেন। রবিবার রাতে ডাক্তার মৃণালকান্তি দাসের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রশাসনের কাছে এই খবর পৌছাতেই সোমবার সকালে পুলিস ডাক্তার মৃণালকান্তি সাহার খোঁজ করতে গিয়ে দেখে ডাক্তার পলাতক। এরপরই পুলিস ডাক্তারবাবু যেখানে যেখানে প্রাইভেট চেম্বার করেছেন সেইসব ওষুধের দোকান এবং তার পাশ্ববর্তী সব দোকান বন্ধ করে দেয়। পুলিসের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা উপসর্গ দেখা যাওয়ার পরও ডাক্তারবাবু কত রোগী দেখেছেন তার সঠিক হিসেব নেই।
যদিও পুলিস তা জোগাড় করতে পারে সেইসব রোগীদের খুঁজের বের করা সম্ভব নয় । যদি না কেউ স্বেচ্ছায় এসে জানায় । ওষুধের দোকান থেকে তালিকা জোগাড় করা গেলেও রোগীদের ঠিকানা সেই তালিকায় থাকে না । তাই পুলিসের ধারাণা মহম্মদবাজার তো বটেই ডাক্তার মৃণালকান্তি দাসের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য বীরভুম জুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । পুলিস জানতে পেরেছে ডাক্তার মৃণালকান্তি সাহা তাঁর সিউড়ির ভাড়া বাড়ি থেকে পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছিল । দীর্ঘসময় ডাক্তারবাবু কোযায় ছিলেন সেটা জেনে সেই এলাকায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে স্রশাসন ।